আজই বাংলাদেশ দল দেশ ছাড়বে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে। ২১ এপ্রিল থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ক্যান্ডিতে। সেই লক্ষ্যেই এই লঙ্কা যাত্রা। টাইগাররা যখন প্রস্থান করছে তখন কার্যত স্থবির হওয়ার প্রহর গুনছে দেশ। আর এক দিন পর, অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল বিমান চলাচল থেকে ক্রিকেট- সবই বন্ধ থাকবে দেশে।
করোনাভীতি কাটিয়ে এনসিএল মাঠে গড়িয়েছিল। তবে করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান স্ট্রেইন হানা দিয়েছে সেখানেও। গত বছরের ডিপিএলের পর তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয় জাতীয় লিগ। মাঝখানের সময়টায় অনেক ক্রিকেটার খ্যাপ খেলে অর্থ কামিয়েছেন। লকডাউনের কড়াকড়িতে এখন সেই সুযোগও নেই।
সরকারি নির্দেশনা মেনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যালয়ও বন্ধ থাকবে এখন থেকে। বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কায় উড়াল দেওয়ার সাথে সাথেই তাই কার্যত বন্ধ হচ্ছে দেশের ক্রিকেটের দরজা। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, কবে সব ঠিক হবে- এসব প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারও।
লকডাউনে দেশের সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বিডিক্রিকটাইমকে বলেন, ‘লকডাউনে সবকিছুতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ক্রিকেট বোর্ডেরও তাই আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। যখন সরকার বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেবে তখন যথারীতি বোর্ড সব খেলা আবার চালু করবে।’
এদিকে করোনার কারণে বাংলাদেশ ইমার্জিং প্রমীলা দলের বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে না খেলেই দেশে ফিরে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং প্রমীলা ক্রিকেট দল। যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে দুই দেশের সব ধরনের যাতায়াত ব্যবস্থা। তাতে দীর্ঘকাল আটকে থাকার ঝুঁকি আছে। সেই ঝুঁকি এড়াতে প্রোটিয়ারা এক ম্যাচ না খেলেই দেশ ছাড়ছে, বিষয়টি কাল রাতেই বিডিক্রিকটাইমকেজানিয়েছিলেন উইমেনস উইংয়ের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।