টাইব্রেকারের ‘রাজা’ ক্রোয়েশিয়া
খেলা

টাইব্রেকারের ‘রাজা’ ক্রোয়েশিয়া

বিশ্বকাপ খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে স্নায়ুশক্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে কারা? চাইলে চোখ বন্ধ করে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়—ক্রোয়েশিয়া। টাইব্রেকার নিক্তি তো সেটাই বলছে। ফুটবলে টাইব্রেকার মানেই স্নায়ুযুদ্ধ। সেই টাইব্রেকার নাটকটা যদি হয় বিশ্বকাপের মঞ্চে, তাহলে তো কথাই নেই। স্নায়ুর এই যুদ্ধে সবাই নিজেদের নার্ভটাকে সচল রাখতে পারে না। কেউ টাইব্রেকার নাটকের মুখোমুখি হলেই ভয়ে কুচকে যায়। কেউ বীরদর্পে বুক ফুলিয়ে জিতে নেয় এই যুদ্ধ। ক্রোয়েশিয়া আছে শেষের দলে। ১৯৯২ সালে স্বাধীনতা লাভ করা এই দেশটি এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে মোট ৪ বার টাইব্রেকার নাটকের মুখোমুখি হয়েছে। সেই ৪ বারই জয়ী তারা।




২০১৮ বিশ্বকাপে দুবার টাইব্রেকার যুদ্ধে নামতে হয় তাদের। শেষ ষোলোতে ডেনমার্কের বিপক্ষে ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ানরা জিতে যান ৩-২ ব্যবধানে। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠের খেলায় ২-২ সমতা থাকার পর সেই টাইব্রেকারেই স্বাগতিক রাশিয়াকে ৪-৩ গোলে বিদায় করে ক্রোয়েশিয়া উঠে যায় সেমিফাইনালে। পরে উঠেছিল ফাইনালেও।



কাকতালীয়ভাবে কাতার বিশ্বকাপেও ক্রোয়েশিয়া শেষ ষোলো এবং কোয়ার্টার ফাইনালের বাঁধা ডিঙাল স্নায়ু পরীক্ষার সেই টাইব্রেকারে। কাতারে শেষ ষোলোতে জাপানের বিপক্ষে ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে ৩-১ গোলের জয়। এরপর পরশু কোয়ার্টার ফাইনালে সেই টাইব্রেকারেই পরাশক্তি ব্রাজিলকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া। এর আগে মাঠের খেলায় ১-১ সমতা ছিল। বিশ্বকাপের টানা দুটি আসরে ৪ বার টাইব্রেকারে গিয়ে ৪ বারই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া-তথ্যটা ক্রোয়েশিয়ানদের স্নায়ুশক্তিতে বলীয়ান হওয়ার সাক্ষ্যই দিচ্ছে।



গত দুই আসরের আগেও ৪টি বিশ্বকাপ খেলেছে ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯২ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ৬ বছর পরই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ক্রোয়েশিয়া। শুধু সুযোগ পাওয়া নয়, ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ১৯৯৮ আসরে প্রথম বার অংশ নিয়ে বিশ্বকে চমকে দেন তারা। একের পর এক চমক দেখিয়ে তারা উঠে যান সেমিফাইনালে। শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন তারা। তবে এই সাফল্য যাত্রায় সেবার তারা একবারও টাইব্রেকার-উত্তেজনার আগুনে পড়েনি। সরাসরি মাঠের খেলার ফলের ভিত্তিতেই তৃতীয় হয়েছিল তারা। অভিষেক আসরের এই চমকটা অবশ্য পরে রাখতে পারেনি ক্রোয়াটরা। ২০০২ ও ২০০৬ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় তাদের।



২০১০ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগই পায়নি। ২০১৪ বিশ্বকাপে আবার গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায়। সেই ক্রোয়েশিয়াই ২০১ তে ফাইনাল খেলেছে, এবারও সেই পথেই হাঁটছে। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারলেই উঠতে পারবে ফাইনালে। লুকা মডরিচের ক্রোয়েশিয়া তা পারবে কি না, বলবে সময়। তবে এরই মধ্যে ক্রোয়েশিয়া নিজেদের টাইব্রেকারের ‘রাজা’ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।

সেমিফাইনাল

তারিখ        :   ১৩-১২-২০২২

আর্জেন্টিনা   :   ক্রোয়েশিয়া

সময়         :   রাত ১টা

স্থান          :   লুসাইল স্টেডিয়াম

Source link

Related posts

প্রাক্তন ইএসপিএন সহকর্মীরা এই দাবির পরে অফারটি বাতিল করার কারণে মতবিরোধে রয়েছেন যে এটি “জাগ্রত” ছিল

News Desk

জেসন উইটেনকে মাইক ম্যাকার্থির সম্ভাব্য কাউবয় প্রতিস্থাপন হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে

News Desk

মার্চ ম্যাডনেস: ক্যাটলিন ক্লার্কের তরুণ ভক্তরা ‘অনুপ্রেরণামূলক’ নায়ককে অনুকরণ করার স্বপ্ন দেখে।

News Desk

Leave a Comment