করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নতুন ভেন্যু হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে আরব আমিরাত ও ওমানকে। প্রাথমিকভাবে বিশ্বকাপটি হওয়ার কথা ছিল ভারতে। কিন্তু সে দেশে করোনার প্রভাব একদমই কমছে না। তাই এখন আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম ও শারজাহ স্টেডিয়াম এবং ওমান ক্রিকেট একাডেমির মাঠে হবে বিশ্বকাপের সব ম্যাচ। আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত কুড়ি ওভারের এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ।
এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করেনি আইসিসি। তাই জানা যায়নি কোন দেশে বা কোন মাঠে হবে কতটি ম্যাচ। তবে ধারণা করা হচ্ছে বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের ম্যাচগুলো হবে ওমান ক্রিকেট একাডেমিতে। পরে আমিরাতের তিন মাঠে হবে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাকি ম্যাচগুলো।
সূচি জানা না থাকলেও, বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে নিজেদের প্রস্তুতি সম্পর্কে কথা বলেছেন ওমান ক্রিকেটে সেক্রেটারি মাধু জেসরানি। তিনি জানিয়েছেন, উপমহাদেশে সাধারণত যেমন উইকেট দেখা যায়, বিশ্বকাপেও হবে তেমনই উইকেট। অর্থাৎ উইকেটে সহায়তা থাকবে স্পিনারদের জন্য।
জেসরানি বলেছেন, ‘এখানের উইকেট উপমহাদেশের চেনা উইকেটের মতোই হবে। বলা যায় যে, স্পিনারদের সাহায্য করবে এ উইকেট। আমাদের কোনো স্টেডিয়াম নেই, দুইটি মাঠ রয়েছে। এর মধ্যে একটিতে দুইটা ড্রেসিংরুম রয়েছে। অন্য মাঠে এখনও নির্মাণাধীন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘এর বাইরে দুই মাঠের ফ্লাডলাইটও খুব উঁচু মানের নয়। আমাদের লাইটিংয়ের কাজ আরও উন্নত করতে হবে। এছাড়া স্কোরবোর্ডও অনেক ছোট, এগুলো বদলাতে হবে। পাশাপাশি লাইভ টিভি স্ক্রিন বসানো হবে।
মূলত ওমানে এখনও ক্রিকেট সে অর্থে জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে ফুটবলের পরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে দেশের মানুষদের কাছে ক্রিকেটের আবেদন বাড়ানো যাবে বলে মনে করেন ওমান ক্রিকেটের সেক্রেটারি।
তার ভাষ্য, ‘ওমানে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। স্কুল-কলেজে এখন ফুটবলের পরেই দ্বিতীয় জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করাটা অনেক বড় একটা লাফ হবে, যেহেতু ওমানও এতে খেলবে। দেশে ক্রিকেটের ভিত শক্ত করতে এটি অনেক সাহায্য করবে। ‘আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করা আমাদের স্বপ্নেরও উর্ধ্বে ছিল। ওমান সরকারের কাছ থেকে পূর্ণ সহায়তা পাচ্ছি আমরা। আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য, নিরাপদ ও সফলভাবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-২০২১ আয়োজন করা।