করোনা মহামারির কারণে আবারও অনিশ্চয়তার কালোমেঘ ঘনিয়ে এল জাপানে অনুষ্ঠিত হতে চলা টোকিও অলিম্পিকের ওপর। দেশটির রাজধানী টোকিওসহ পাশ্ববর্তী তিনটি শহরে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেয়া হল। অলিম্পিক মাঠে গড়াতে আর মাত্র তিন মাস সময় বাকি থাকতে এ জরুরি অবস্থা জারি, গেমস আয়োজন নিয়েই শঙ্কা বাড়িয়ে দিলো।
১১ মে পর্যন্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল জাপান সরকার; কিন্তু কোভিড-১৯ সংক্রমণ ক্রমাগত হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরো মে মাসই জরুরি অবস্থা বহাল রাখা হবে বলে গত শুক্রবার ঘোষণা করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইওশিহিদে সুগা। এই ঘোষণার ফলে টোকিও অলিম্পিক নিয়ে ঘোর অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়ে গেল। যদিও সুগা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সূচি মেনেই টোকিও অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে।
জাপানজুড়ে করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়েছে। বিশেষ করে টোকিও, ওসাকায় দিনের পর দিন করোনা রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৩ জুলাই টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধন।
গতবছর করোনার কারণে অলিম্পিক বন্ধ রাখা হয়েছিল; কিন্তু এবারেও তার প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারল না টোকিও। জরুরি অবস্থা মে’র শেষ পর্যন্ত চলা মানে অলিম্পিক শুরু হতে মাস দু’য়েক সময়ও হাতে থাকবে না।
এমনিতেই জাপানিরা অলিম্পিক আয়োজন করার সম্পূর্ণ বিরোধী। তার উপর বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা কোনোমতে অলিম্পিকের আয়োজন করার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রী সুগা অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘করোনার বৃদ্ধিকে থামানোর জন্য আমরা সবদিক দিয়েই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস, অলিম্পিক যথেষ্ট নিরাপত্তার মধ্যে আয়োজন করতে পারব।’
কয়েকদিন আগেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও তারা জানিয়েছিলেন, সুষ্ঠুভাবে অলিম্পিক আয়োজনে কোনও দুর্বলতা রাখবে না জাপানের প্রশাসন।
একই সুর শোনা গেলো আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জন কোটসের গলায়ও। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন, ‘না, অলিম্পিক বাতিল বা পিছিয়ে দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। জাপানের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দু-তিন সপ্তাহ আগেও সে কথা বলেছেন। আইওসি বা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকেও একই কথা জানিয়েছেন।