কোভিড আবহে দেশের মাটিতে অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে এমনিতেই দ্বিধাবিভক্ত জাপানের মানুষ। বিশেষ করে টোকিওর মানুষ। একাংশের অনীহা সত্ত্বেও জাপানের প্রধানমন্ত্রী যোশিহিদে সুগা বারংবার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা করেছেন পিছিয়ে যাওয়া অলিম্পিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে নির্ধারিত সূচি মেনেই। তবে অতিমারী আবহে দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করতে এবং নিরাপদে গেমস আয়োজন করতে বেশ কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে অলিম্পিক আয়োজকরা।
ইতিমধ্যেই অলিম্পিক গেমসে বাইরের দেশের অনুরাগী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী সমস্ত অ্যাথলিটের প্রাত্যহিক করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা। এবার প্রয়োজনে গোটা অলিম্পিক দর্শকশূন্য পরিমন্ডলে আয়োজন করার আভাস দিয়ে রাখলেন গেমস প্রেসিডেন্ট সেইকো হাশিমোতো। গেমস সম্পূর্ণ নিরাপদে আয়োজন করতে তারা যে কোনওরকম পদক্ষেপ নিতে তৈরি বলে জানিয়েছেন হাশিমোতো। গেমসের নীতি-নির্ণায়ক এক বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
হাশিমোতো জানান, ‘আমরা দর্শকশূন্য পরিমন্ডলে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এবং জাপান সরকার এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে তারা সম্ভাব্য সমস্তরকম ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। যদিও ভিন্ন দেশ থেকে আসা সকল অ্যাথলিটদের জন্য ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক না করার বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক ক্রিস্টোফার ডাবি। তবে অ্যাথলিটদের প্রাত্যহিক করোনা পরীক্ষা এবং গেমসের বৃত্তে প্রবেশ করার আগে জোড়া নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক।
এদিকে আয়োজক তথা রাজধানী টোকিও সহ জাপানের বিভিন্ন প্রদেশে জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। চলবে ১১মে অবধি। এমতাবস্থায় বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে গেমস পুনরায় স্থগিত রাখা অথবা বাতিল করার। অন্যান্য দেশের মতো করোনা জাপানে ব্যাপক আঘাত না হানতে পারলেও নয়া প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত সেদেশের প্রশাসন। বিভিন্ন প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা তাই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছিল।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস ব্যাচ দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার বিষয়টিকে সমর্থন করলেও প্রয়োজনীয় সমস্ত গাইডলাইন মেনে নিরাপদ গেমস আয়োজনের বার্তা দিয়েছেন তিনি। গত বুধবার টোকিওতে নতুন করে ৯২৫ জন মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন।