অলিম্পিকের আর বাকি নেই দুই মাসও। এরপরও অলিম্পিক নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটছেই না। দেশটিতে এ নিয়ে চলছে অসন্তোষ। এরই মাঝে ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক অলিম্পিক কর্মকর্তা। ফলে তার মৃত্যু নিয়েও তৈরি হয়েছে নতুন ধোঁয়াশা।
টোকিও পুলিশের সূত্র ধরে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, আত্মহত্যা করা সেই অলিম্পিক কর্মকর্তার নাম মারিয়া ইয়াসুশি। দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম নাকানোবু স্টেশনে পাতাল রেলের সামনে ঝাপ দেন তিনি। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিরা তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। দুই ঘণ্টা পরেই কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এখনো কোনো আলামত পাওয়া যায়নি অন্য কিছুর, তাই স্থানীয় পুলিশ আত্মহত্যা ধরে নিয়েই এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
টোকিও অলিম্পিকের হিসাবরক্ষণ বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছিলেন মারিয়া। তার এই মৃত্যু অলিম্পিকের সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি টোকিও পুলিশ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিতদের ভাষ্যমতে, তিনি নিজেই লাফ দিয়েছিলেন ট্রেনের নিচে। তবে তার সঙ্গে ছিল না কোনো সুইসাইড নোট। জাপান অলিম্পিক কমিটিও ‘তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে’ ছাড়া জানাতে পারেনি কিছুই।
করোনা মহামারির মধ্যেই অলিম্পিক আয়োজনের তোড়জোড় চলছে। এ নিয়ে দেশটির সিংহভাগ জনসংখ্যাই অসন্তুষ্ট। গেল মাসেই এ কারণে প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল দেশটির শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা আসাহি সিম্বুন। নিজেদের সম্পাদকীয় কলামে পত্রিকাটির সম্পাদক দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছিলেন অলিম্পিক বন্ধ করার আহ্বানও। তবে আয়োজকরা অবশ্য জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুব খারাপ না হলে অলিম্পিক বাতিল হবে না। সেটা হতে হলে অস্বীকৃতি জানাতে হবে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরও।