ডারবানের কিংসমিডে শুরু হওয়া টেস্টের প্রথম সেশনটা পুরোটা নিজেদের করে নিয়েছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। সফরকারী বাংলাদেশি বোলারদের কোনো সুযোগই দেয়নি তারা। অবশ্য, লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে একটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন উইকেটকিপার লিটন দাস। সহজ একটি ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছেন তিনি!
তবে লাঞ্চ বিরতির পর ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর নবম ওভারে বাংলাদেশ শিবিরে প্রথম স্বস্তি এনে দেন খালেদ আহমেদ। তখন স্বাগতিকদের রান ১১৩। দলীয় ৩৪তম ও নিজের ৬ষ্ঠ ওভার করতে এসে দ্বিতীয় বলেই প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারকে কটবিহাইন্ডের শিকারে পরিণত করেন এই পেসার।
আউট হওয়ার আগে এলগার ৬৭ রান করে গেছেন। খালেদের বলটি হালকা বাউন্সের ছিল। সেটি না খেলে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন এলগার। কিন্তু তা এলগারের ব্যাটের কানায় লেগে পেছনে চলে যায়। ড্রাইভ দিয়ে সেটিকে তালুবন্দি করেন লিটন। এবার আর তিনি কোনো ভুল করেননি। স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৫ রান যোগ হতেই আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৩৫তম ও নিজের নবম ওভার করতে এসে প্রথম বলেই সেট হয়ে যাওয়া অপর ওপেনার সারেল এরউইকে বোল্ড করেন তিনি। বলটি এরউইর ব্যাটে লেগে ইনসুইং হয়ে সরাসরি স্ট্যাম্পে আঘাত হানে।
তৃতীয় আঘাতটিও হানেন মিরাজ। তবে বল হাতে নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার রান তখন ১৪৬। দলীয় ৪৬তম ওভারের শেষ বলটি করেন তাসকিন আহমেদ। সেটিকে মিড পয়েন্ট দিয়ে সজোরে ব্যাট চালান টেম্বা বাভুমা। হয়তো ভেবেছিলেন কেউ বলটি ধরতে পারবে না এবং বাউন্ডারি হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাই দৌড়ে রান নিতে যান। কিন্তু তাকে ভুল প্রমাণ করেন পয়েন্টে দাঁড়ানো মিরাজ। ড্রাইভ দিয়ে বলটি অবিশ্বাস্যভাবে আটকে দেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই সরাসরি থ্রোতে উইকেট ফেলে দেন। এতে রানআউটের ফাঁদে পড়েন কিগান পিটারসেন। তিনি ১৯ রান করে ফিরে যান।
এরপর রায়ান রিকেলটনের সঙ্গে জুটি বাধার চেষ্টা করেন বাভুমা। তারা ৩৪ রানের জুটিও গড়ে তোলেন। তখনই এবাদত হোসেনের আঘাত। ৫৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রিকেলটনকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেন। তার আগে ২১ রান করেন প্রোটিয়া এই ব্যাটার। মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। আজ প্রথম থেকেই ভালো বল করে যাচ্ছেন এবাদত। সেটিরই ফল পেলেন।
এই রিপোর্ট লেখার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৬৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান। টেম্বা বাভুমা ৩৮ ও কাইল ভেরেইনে ১১ রানে অপরাজিত আছেন।