লিওনেল মেসি আর নেইমার নেই, তবু পিএসজির সঙ্গে তুলনা চলে না ব্রেস্তের। সেই ব্রেস্তই কিনা ম্যাচটা জমিয়ে তুলল ফরাসি পরাশক্তিদের বিপক্ষে! তবে সব রোমাঞ্চ শেষে আনহেল ডি মারিয়া আর কিলিয়ান এমবাপের গোলে ৪-২ গোলের জয়টা ঠিকই তুলে নিয়েছে পিএসজি।
ম্যাচটা যে ‘রোমাঞ্চকর’ হয়েছে শেষমেশ, তার জন্যে ব্রেস্ত গোলরক্ষক মার্কো বিজোর কৃতিত্বও নেহায়েত কম নয়। ব্রেস্তের বিপক্ষে শেষ সাত ম্যাচের সবকটিতেই জয় পেয়েছে, এমন দলের বিপক্ষে অনুমিতভাবেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে পিএসজি। তাতে ব্যবধানটাও যে আরও বড় হয়নি, তার জন্য গোলরক্ষকের পিঠটা চাপড়ে দিতেই হবে ব্রেস্ত কোচকে।
পুরো ম্যাচে কমপক্ষে চারটা সেভ দিয়েছেন বিজো। পঞ্চম মিনিটে এমবাপের শটটা ঠেকিয়ে যার শুরু। ২১ মিনিটে অবশ্য নিজেদের ভুলেই গোলটা পায়নি পিএসজি। গোলমুখে একটা সহজ ট্যাপ ইন মিস করেন মাউরো ইকার্দি।
তবে কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর দলকে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি গোলের জন্য। ২৩ মিনিটেই পেয়ে যায় প্রথম গোল। রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে যাওয়া এমবাপে ক্রস করেন বক্সে, সেটাও ঠেকাতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিক ব্রেস্ত। বক্সের বাইরে আন্দার হেরেরার পায়ে গিয়ে পড়ে বল, সেখান থেকে তার আগুনে শট গিয়ে আছড়ে পড়ে জালে।
এর একটু পর প্যারিসিয়ানদের সামনে গোলের সুযোগ আসে আরও একবার। কিন্তু আশরাফ হাকিমির শট ছিল গোলরক্ষক বরাবর, তাতে বিজোর খাতায় বাড়ে আরও এক সেভ, গোলবঞ্চিত থাকে পিএসজি।
তবে দ্বিতীয় গোলের জন্যে অপেক্ষাটাও বেশি দীর্ঘ হয়নি পিএসজির। এমবাপের ক্রস হাকিমি হয়ে গিয়ে পড়ে জর্জিনিও ওয়াইনাল্ডামের পায়ে, তার দারুণ শট প্রতিহত করলেও ফিরতি চেষ্টায় এমবাপের শট আর ঠেকাতে পারেনি ব্রেস্ত রক্ষণ। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় পচেত্তিনোর শিষ্যরা।
ব্রেস্ত শুরু থেকেই খেলছিল প্রতি আক্রমণের কৌশলে। ৪২ মিনিটে ব্যবধানটাও কমায় তার একটা থেকেই। চকিতেই রক্ষণ থেকে আক্রমণে উঠে এসে স্টিভ মনিয়ে খুঁজে নেন রোমাঁ ফেভারকে, সেখান থেকে তার ব্যাকহিল ফাঁকায় পেয়ে যায় ফ্র্যাঙ্ক উনুগাকে। তার কোণাকুণি শট পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করে জড়ায় পিএসজি জালে। অনেকটা ধারার বিপরীতে স্কোরলাইনটা ২-১ করে ফেলে ব্রেস্ত।
৭৩ মিনিটে ইদ্রিসা গেই মাঝমাঠ থেকে করে বসেন আচমকা এক শট, তাতেই গোল। তবে এর মিনিট দশেক পর ব্রেস্তের প্রথম গোলের কুশীলব স্টিভ মনিয়ে পেয়ে যান গোলের দেখা। প্রথম গোলের আরেক নেপথ্য নায়ক ফেভারের ক্রস থেকে দারুণ এক শটে করেছেন গোল, পিএসজি শিবির তখন কাঁপছে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কায়।
তবে তাদেরকে সেই শঙ্কা থেকে মুক্তি দেন মৌসুমে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা ডি মারিয়া। প্রতি আক্রমণে আশরাফ হাকিমির সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে তিনি বলটা পাঠান পিএসজির জালে। তাতেই ম্যাচটা হয়ে যায় সফরকারীদের।
এর ফলে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই জয় তুলে নিল পিএসজি। আছে তালিকার শীর্ষেও।