বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে উপেক্ষিত খেলোয়াড়দের একজন সম্ভবত তাইজুল ইসলাম। নিয়মিত ভালো পারফর্ম করে যান, তবু মাঝেমধ্যে টিম কম্বিনেশনের কারণে একাদশ থেকে বাদ পড়তে হয়। সর্বশেষ তিনটি টেস্টে সাইড বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে। অবশেষে একাদশে ফিরলেন এবং জানান দিলেন, কেন তিনি টেস্ট দলের সেরা বোলার।
চলমান পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম। গতকাল টেস্টের প্রথম দিনই ৩ উইকেট নিয়ে হন দিনের সেরা বোলার। আজ (৯ এপ্রিল) নিয়েছেন আরও দুটি উইকেট। তার সর্বশেষ শিকার কেশাভ মহারাজ। প্রোটিয়া এই অলরাউন্ডার ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে দ্রুতগতিতে রান তুলছিলেন। নিজেও খেলে ফেলেন মাত্র ৯৫ বল মোকাবিলায় ৮৪ রানের ইনিংস। এতে ছিল ৩টি ছক্কা ও ৯টি চারের মার। এর পরই আঘাত হানেন তাইজুল। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড করেন তাকে।
এর মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে পাঁচ উইকেট পেলো কোনো বাংলাদেশি বোলার। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারে দশম বারের মতো পাঁচ উইকেট শিকার। এই রিপোর্ট লেখার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৩৩ রান। হার্মার ১৯ ও উইলিয়ামস ৩ রানে অপরাজিত।
এর আগে গতকাল স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রানে দিন শেষ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ দ্বিতীয় দিন সকালে আবারও ব্যাটিংয়ে নামে তারা। স্কোরবোর্ডে আর ২২ রান যোগ হতেই কাইল ভেরেইনেকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন খালেদ আহমেদ।
তাকে সরাসরি বোল্ড করেন খালেদ। আউট হওয়ার আগে ২২ রান করেছেন ভেরেইনে। এরপর ক্রিজে নেমে কেশাভ মহারাজের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন ওয়াইন মুলদার। এর মধ্যে মহারাজ ওয়ানডে স্টাইলে খেলতে থাকেন। অন্যপ্রান্ত আগলে রেখে রান তুলে যাচ্ছিলেন মুলদার। দুজনের জুটি ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। ঠিক এমন সময় ত্রাণকর্তা হয়ে আবারও আবির্ভুত হলেন তাইজুল ইসলাম। দলীয় ৩৮০ রানের সময় মুলদারকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে কাঙ্খিত ব্রেক-থ্রু এনে দেন এই স্পিনার।
তার আগে ৭৭ বল মোকাবিলায় ৩৩ রান করেছেন মুলদার। মহারাজের সঙ্গে তিনি ৮০ রানের জুটি গড়েন। আর গতকাল ৩ উইকেট পেয়েছিলেন তাইজুল। তার শিকার ডিন এলগার, কিগান পিটারসেন, রায়ান রিকেলটন, ওয়াইন মুলদার ও কেশাভ মহারাজ।