টেস্ট বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবেই পরিচিত তাইজুল ইসলাম। এ কারণে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে তার সুযোগ মেলে না। টেস্টেও বিদেশের মাটিতে অধিকাংশ সময় থাকেন দলের বাইরে। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের মধ্যে কেউ একজন না থাকলে তবেই একাদশে সুযোগ পান। এ কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজেও সাইড বেঞ্চেই বসে থাকতে হয়েছে।
হয়তো দেশে ফেরারও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এই স্পিনার। সাকিব ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছুটি নেওয়ায় পরে তাইজুলকে দলে যুক্ত করা হয়। প্রথম দুই ওয়ানডেতেও বসেই ছিলেন। আজ শেষ ম্যাচে সুযোগ পেলেন। বলা যায় দুই বছর পর একদিনের ক্রিকেটে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন তাইজুল। এবং ফেরাটা কি দারুণভাবেই না রাঙালেন এই স্পিন বিশেষজ্ঞ।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৮.৪ ওভারে ১৭৮ রানে অলআউট হয়েছে। তাদের ধসিয়ে দেওয়ায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাইজুল। একে একে শিকার করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ৫টি উইকেট। তার শিকার শাই হোপ, ব্রেন্ডন কিং, নিকোলাস পুরান, রোভম্যান পাওয়েল ও কিমো পউল। সর্বোচ্চ ৭৩ রান করা ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক পুরানকে আউট করার মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট শিকারের উল্লাসে মেতে উঠেন তাইজুল। অবশ্য এটা তার ক্যারিয়ারের মাত্র দশম ওয়ানডে। পাঁচ শিকারের মধ্যে তিনটি বোল্ড ও দুই জনকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।
সবমিলিয়ে ১০ ওভারে ২ মেডেনসহ ২.৮০ ইকোনোমিতে ২৮ রান খরচ করেছেন তাইজুল। এতদিন তার সেরা বোলিং ফিগার ছিল ১১ রানে ৪ উইকেট। বাকিদের মধ্যে নাসুম আহমেদ ২টি ও মুস্তাফিজুর রহমান ২টি এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত একটি উইকেট শিকার করেন। আজ সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৮ ওভার বল করে ৭.৬২ ইকোনোমিতে ৬১ রান খরচ করেছেন, উইকেট শূন্য। নাসুম ৯.৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়েছেন। মুস্তাফিজ দেন ৯ ওভারে ২৪ রান। মোসাদ্দেক বেশ কিপ্টে ছিলেন। তিনি ১০ ওভার বল করে মাত্র ২৩ রান খরচ করেন। পার্ট টাইম বোলার আফিফ হোসেন ২ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়েছেন, এর মধ্যে একটি মেডেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের মধ্যে নিকোলাস পুরান ৭৩, ক্যাচি কার্টি ৩৩, রোমারিও শেফার্ড ১৯ ও রোভম্যান পাওয়েল ১৮ রান করেন। বাকিদের মধ্যে আর কেউ দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।