সৌম্য সরকার আর লিটন দাস-সন্দেহাতীতভাবেই বাংলাদেশ দলে তাদের মতো হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান খুব বেশি নেই। দুজন যেদিন নিজের মতো করে খেলেন, সেদিন প্রতিপক্ষের চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করা থাকে না।
কিন্তু সমস্যা হলো, নিজের মতো খেলার দিনটা নিয়মিত আসে না এই দুই ব্যাটসম্যানের। অর্থাৎ ধারাবাহিকতার অভাব। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় বড় সেঞ্চুরির দেখা পেলেও বড় ব্যাটসম্যানের কাতারে নাম লেখাতে পারছেন না সৌম্য-লিটন। ভরসা রাখা যাচ্ছে না তাদের ওপর।
এই সমস্যাটা কবে কাটবে? কবে সৌম্য-লিটন ধারাবাহিক হবেন? ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল তাদের জন্য কি পরামর্শ দেবেন বা দিয়ে থাকেন? তামিম শোনালেন, সৌম্য-লিটনকে আসলে একটা কারণে কিছু বলতে পারেন না তিনি। কারণটা কী? শুনুন তামিমের মুখেই।
ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘দেখেন, আমার মনে হয় যে, বারবারই বলেছি যদি একটা ক্রিকেটারের চিন্তাধারায় ঘাটতি থাকে, তাহলে তাকে অনেক কিছু বলাটা বা বুঝানোটা সহজ। কিন্তু যখন আমি দেখি, অধিনায়ক হিসেবে, সতীর্থ হিসেবে- আমার ধারণা তারাও সেটা অনুভব করে, আরও ধারাবাহিক হতে হবে, বড় রান করতে হবে। তারা এটা জানে যে তারা ভুল করছে এবং এটা নিয়ে আমি খুশি। কারণ অনেক সময়, আপনি যদি ভুল করে নাই জানেন, তাহলে ঝামেলা। তারা এটা বুঝতে পারে।’
আশাবাদী তামিম যোগ করেন, ‘আমি নিশ্চিত তারা এর থেকে বেরিয়ে আসবে। কারণ, আমরা হঠাৎ জ্বলে ওঠা দেখেছি সৌম্য-লিটনের থেকে। এখন যদি মুশফিকের মতো ধারাবাহিক পারফর্ম করা শুরু করে, তাহলে আমরা ওয়ানডেতে ঘরে-বাইরে দারুণ একটা দল হয়ে উঠতে পারব।’
তামিমের প্রত্যাশা, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেই নিজেদের মতো করে পারফর্ম করতে পারবে তার জুনিয়র দুই সতীর্থ। তামিমের ভাষায়, ‘আমি অবশ্যই বলব যে আমার আশা, তারা এ সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। আমার ধারণা এ দুজনের অনেক বেশি সম্ভাবনা আছে, তাদেরকে এখন ডেলিভার করতে হবে। এটাও বলছি না, তারা কিছুই করে নাই, কিছু তো করেছেই। তবে তাদের কাছ থেকে যদি আরও বড় কিছু আসে, দলের জন্য এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না। আপনি-আমি সবাই জানি, সৌম্য-লিটন কেমন, যদি ওমন দুই-একটা বড় পারফরম্যান্স এই সিরিজে পাই, তাহলে জীবনটা সহজ হয়ে যায় আর কী!