চট্টগ্রামের মতোই দ্বিতীয় টেস্টেও শ্রীলঙ্কার পেসাররা বল হাতে আগুন ছড়াচ্ছেন। মিরপুরে ম্যাচের দুই দিনের সকালেই বাংলাদেশকে চাপে ফেলেছেন শ্রীলঙ্কার পেসাররা। প্রথম দিনে তো ২৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে টাইগারদের কিনারে ফেলে দেন কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দো। মঙ্গলবার (২৪ মে) দ্বিতীয় দিনও চার উইকেট নেন তারা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৯ ব্যাটার তাদের শিকার। রাজিথা ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট নিলেন ৬৪ রানে। আসিথা পেলেন ৪ উইকেট।
বুধবার তৃতীয় দিন বল হাতে এমন একটি সকাল আসছে বাংলাদেশের পেসারদের সামনেও। ম্যাচের লাগাম পেতে তৃতীয় দিনের সকালে এবাদত, খালেদদের দায়িত্ব নিতে হবে। মঙ্গলবার দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাস এমনটাই বলেছেন।
দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ১৪৩ রান তুলেছে। দিমুথ করুনারত্নে ৭০, নাইটওয়াচম্যান রাজিথা শূন্য রানে ব্যাট করছেন। ২২২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
ইনিংসের ২৬তম ওভারে লঙ্কান ওপেনিং জুটি ভেঙেছেন এবাদত। চট্টগ্রাম টেস্টে যাকে বসিয়ে রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। ৫৭ রান করা ওশাদা ফার্নান্দোকে ফেরান ডানহাতি এ পেসার। এর আগে করুনারত্নের উইকেটও পেতে পারতেন এবাদত। জোরালো আবেদন হলেও লিটন সম্মতি না দেওয়ায় রিভিউ নেননি অধিনায়ক মুমিনুল। অবশ্য রিপ্লে বলছিল রিভিউ নিলেই আউট হতেন করুনারত্নে।
তবে চট্টগ্রামের মতোই ঢাকায়ও আরেক পেসার খালেদ ছিলেন যাচ্ছে তাই। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো করলেও হোম কন্ডিশনে তার নির্বিষ বোলিং দলকে ভোগাচ্ছে। অবশ্য বুধবার তার কাছেও ভালো বোলিংয়ের প্রত্যাশা লিটনের। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘পেস বোলারদের সহায়তা গতকালও (প্রথম দিন) ছিল আজও ছিল। আমার মনে হয় না স্পিনারদের খুব একটা সহায়তা ছিল। তারপরও আমাদের স্পিনাররা যথেষ্ট ভালো করেছে। আমার মনে হয় আমাদের দুই পেসারকে দায়িত্বশীল হতে হবে। কিছু উইকেট বের করতে না পারলেও রান যদি আটকে রাখতে পারে।’
দিন যত গড়াবে উইকেটের অসমান বাউন্স বাড়বে বলে বিশ্বাস লিটনের। সেজন্যই প্রথম ইনিংসে যত বেশি সম্ভব লিড পেতে চান তিনি। বলেছেন, ‘এখনও ওরা অনেক পিছিয়ে আছে। সকাল সকাল ২-১টা উইকেট নিয়ে নিতে পারলে আমাদের লিডের অনেকখানি সুযোগ থাকবে। প্রথম ইনিংস এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমাদের কাছাকাছি বা আমাদের ওপরে চলে যায় তাহলে আমরা ব্যাকফুটে চলে যাব। যত এগিয়ে থাকব আমাদের জন্য ভালো।’
দল, সমর্থক সবাই আশা করছে, কিন্তু খালেদ-এবাদত পারবেন কি জ্বলে উঠতে? উত্তরটা বুধবার সকালে ম্যাচের প্রথম ঘন্টায় পেয়ে যাবেন।