অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট, কথাটি আরও একবার প্রমাণ করলো রাজস্থান রয়্যালস। দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছ থেকে এক প্রকার ম্যাচটা ছিনিয়ে নিলো তারা। ক্রিস মরিস এবং জয়দেব উনাদকাটের অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রানের জুটিতে এবারের আইপিএলে প্রথম জয় পেয়েছে সাঞ্জু স্যামসনের দল। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রিশাভ পান্টের দলকে তারা হারিয়েছে ৩ উইকেটের ব্যবধানে।
রাজস্থানের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন রয়্যালস শিবিরের বাংলাদেশি রিক্রুট মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারে মার্কাস স্টয়নিসকে অফ কাটারে বিভ্রান্ত করে সাজঘরে ফেরত পাঠান। এরপর নিজের শেষ ওভারে টম কারেনের স্টাম্প ছত্রখান করেন তিনি। ৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন ফিজ।
১৪৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরু থেকে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে রাজস্থান রয়্যালসের। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন আরেকটি পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে তারা, তখনই নিজের কাঁধে দায়িত্ব নেন রাজস্থানের দক্ষিণ আফ্রিকান রিক্রুট ডেভিড মিলার।
বেন স্টোকসের ইনজুরির সুবাদে খেলতে নেমে নিজের ব্যাটিং পারদর্শিতা আরও একবার উপস্থাপন করেন তিনি। একপ্রান্ত আগলে ধরে ৪৩ বলে ৬২ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন দুরন্ত ফর্মে থাকা মিলার। দিল্লির আবেশ খানের বলে পরপর ২টি ছক্কা হাঁকানোর পর পরের বলকেও মাঠের পাঠাতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন তিনি।
মিলারের বিদায়ের পর ম্যাচে একপ্রকার দিল্লির হাতে চলে আসে। তখনই বাধা হয়ে দাঁড়ান ক্রিস মরিস, সাথে যোগ্য সহায়তা দেন বোলিংয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করা জয়দেব উনাদকাট। ৮ম উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৯ তম ওভারে স্বদেশি কাগিসো রাবাদাকে ২ ছক্কা হাকানোর পর ইনিংসের শেষ ওভারে টম কারেনকে ২ ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ নিজেদের মুঠোবন্দি করেন মরিস। ১৮ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি, উনাদকাট ১১ রানে অপরাজিত থাকেন।
দিল্লির পক্ষে আবেশ খান ৩টি এবং ওকস ও রাবাদা ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ম্যাচ সেরা জয়দেব উনাদকাটের অসাধারণ স্পেল এবং মুস্তাফিজের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের সুবাদে দিল্লিকে ১৪৭ রানে আটকে দেয় রাজস্থান। দিল্লির প্রথম ৩টি উইকেটই নেন উনাদকাট। তার বোলিং স্পেল ছিল ৪-০-১৫-৩।
শুরুর ধাক্কা সামলে দিল্লিকে ১৫০ রানের কাছাকাছি নেওয়ার কৃতিত্ব অধিনায়ক পান্টের। ৩২ বলে ৫১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। রিয়ান পরাগের দুর্দান্ত থ্রোতে রানআউটের শিকার হলে ইনিংস আর লম্বা করতে পারেননি তিনি। এছাড়াও টম কারেন ২১ এবং ললিত যাদব ২০ রান করেন।