টানা দ্বিতীয় বারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স। তবে শুরুটা মোটেও সুখকর ছিল না। গত আসরের ভরসামান দুই মিডফিলডার কন্তে ও পগবা বিশ্বকাপের আগেই ইনজুরিতে ছিটকে যায় দল থেকে। এরপর একে একে ছিটকে যায় ডিফেন্ডার কিমপেম্বে, ফরোওয়ার্ড এনকুকু এবং সদ্য ব্যালন ডি’অর জয়ী খেলোয়াড় করিম বেনজামা। এতে কিছুটা চাপেই পড়ে যায় ফরাসি কোচ দেশম।
কিন্তু কাতারে প্রথম ম্যাচ থেকেই চ্যাম্পিয়নরা দাপট দেখাতে থাকে। গোল করে সবার নজর কাড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে-অলিভার জিরুদরা। তবে তাদের পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়েন আরেক জন। যাকে কি না, কেউ গার্ড দেওয়া তো দূরের কথা আটকে রাখতেও পারে না। সারা মাঠ জুড়ে দেখা যায় তার বিচরণ। তাকে ফাউল করা হয়, তবে সে থেমে যায় না উঠে আবার আক্রমণ চালায় প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে। বলছিলাম ফরাসি স্ট্রাইকার অ্যাতোয়ান গ্রিজম্যানের কথা। যে এবার কাজ করছেন কোচ দেশমের গোপন অস্ত্র হিসেবে। দলের প্রয়োজনে খেলছেন নিজের পজিশন ছেড়ে।
গ্রিজম্যান দলের একজন স্বাধীন ফরোয়ার্ড হলেও এবারের বিশ্বকাপে কন্তে এবং পগবা না থাকায় খেলছেন মধ্যমাঠে এবং হামলে পড়ছে প্রতিপক্ষের ওপর। তাকে থামানোটা কঠিন হয়ে পরে বিপক্ষে খেলতে থাকা প্রতিটি দলের জন্য। গ্রিজম্যান কখন গোলে অ্যাসিস্ট করে, আবার কখন সাপ্লাই চেনটা ঠিকঠাক রাখখেন। মাঠে তার অবদান বেশ চোখে পড়ার মতোই।
সেমিফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষের ম্যাচে গ্রিজম্যান হয়েছেন ম্যাচ-সেরা। এরপর তিনি জানান ফাইনালেও তিনি এমন পারফরম্যান্স দেখাতে চান। গ্রিজম্যান বলেন, ‘এটা মোটেও সহজ ম্যাচ হবে না। আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করতে হবে। আমরা অনুশীলনে প্রতিপক্ষকে নিয়ে বিশ্লেষণ করব। কীভাবে তাদের বিপক্ষে মাঠে লড়াই করতে হবে তার উপায় বের করব।’
ফাইনালে প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনাকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো দলেরই মেসির বিপক্ষে খেলা ভিন্ন ব্যাপার। আর্জেন্টিনা যেসব ম্যাচ খেলেছে আমরা দেখেছি, আমরা জানি তারা কীভাবে খেলে, তারা খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ তাদের দেখে ফর্মের তুঙ্গে মনে হচ্ছে। শুধু মেসিই না, তাকে ঘিরে পুরো দলটি শক্তিশালী।’