সর্বশেষ ক্যারিবিয়ান সফরে ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছে তরুণ পেসার সাকিব মাহমুদের। ২২.৮৩ গড়ে উইকেট শিকার করেছেন ৬টি। পুরনো বলে রিভার্স সুইংয়ে তার দক্ষতা সবার নজর কেড়েছে। সাদা বলের ক্রিকেটেও ১৯ ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। সাকিবের মাঝে এখনই ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।
বয়স মাত্র ২৫। সামনে লম্বা ক্যারিয়ার রয়েছে। সেটি ভেবেই কি না আইপিএলে খেলার লোভনীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন সাকিব মাহমুদ। আইপিএল না খেলে দেশের জন্য টেস্ট খেলতে চান সাকিব। লাল বলের ক্রিকেটে নিজের আরও দক্ষতা বাড়াতে চান। অথচ বিশ্বের অনেক বড় তারকাই জাতীয় দলের খেলা বাদ দিয়ে আইপিএলকে বেছে নিচ্ছেন। ভারতীয় টুর্নামেন্টে যে টাকার ছড়াছড়ি!
তবে কোন দল থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন তা জানাননি সাকিব মাহমুদ। এই মুহূর্তে কাউন্ট্রি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে খেলছেন তিনি। সাকিব বলেন, ‘আমি আইপিএল অফার প্রত্যাখান করেছি। কারণ, আমি ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে খেলবো এবং চেষ্টা করবো লাল বলের ক্রিকেটে নিজের দক্ষতা বাড়াতে। ক্যারিবিয়ান সফরকালে আইপিএলের অফারটি পাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আমি কথা বলেছি এবং মনে হয়েছে, এই মুহূর্তে আমার লাল বলের ক্রিকেটে ফোকাস দেওয়া মূল ইন্টারেস্ট হওয়া উচিত। আশা করি এটা আমার টেস্ট খেলার চাহিদাকে হাইলাইটস করবে।’
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে না কি বেন স্টোকসের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন ২৫ বছর বয়সী এই তরুণ। এবার নিলামের আগেই আইপিএল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন স্টোকস। আপাতত দেশের খেলায় বিশেষ করে টেস্টে মনোযোগ দিতে চান। এ কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই তারকা অলরাউন্ডার। যদিও তিনি বেশ কয়েকটি মৌসুম আইপিএল খেলেছিলেন।
সাকিব মাহমুদ বলেন, ‘এটি আমার পছন্দ ছিল। এটি এক দিক দিয়ে মজারও। কারণ, এক সকালে নাস্তার টেবিলে স্টোকসের সঙ্গে আমার আড্ডা হয়। সেই আড্ডার বিষয়বস্তু ছিল কেন তিনি আইপিএলে যাননি। তখন স্টোকস বলেছিল, সে লাল বলের ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিতে চায় এবং দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অবদান রাখতে চায়। ওই দিনই আমি আইপিএল থেকে অফার পাই।’