মরুর বুকে পর্দা নেমেছে বিশ্বকাপ ফুটবলের। ৩৬ বছরের অপেক্ষা শেষে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। তবে কাতারের মাটিতে বিশ্বকাপের ২২তম আসরে সবচেয়ে বড় চমক দেখানো দলটি ছিলো আফ্রিকার দেশ মরক্কো।
বিশ্বকাপে আসার আগে যেখানে মরক্কানদের লক্ষ্য ছিলো গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই ভালো খেলা উপহার দেওয়া। কারণ বেলজিয়াম-ক্রোয়েশিয়ার মতো দলের সঙ্গে একই গ্রুপে পড়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে চাওয়াটাও তো এক প্রকার দুঃসাহস। তবে অ্যাটলাস লায়ন্সরা শুধু প্রথম পর্ব পেরোনোরই দুঃসাহস দেখাইনি, পৌঁছে গেছে সেমিফাইনালে।
সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন শেষ হলেও মাথা উঁচু করেই মাঠ ছেড়েছে মরক্কানরা। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপে চতুর্থ হয় মরক্কো। আফ্রিকান যেকোনো দেশের বিশ্বকাপে এটিই সর্বোচ্চ অর্জন।
দুর্দান্ত এক বিশ্বকাপ শেষে ইতিহাসের সেরা অর্জন নিয়ে দেশে ফেরার পর হাকিমি-জিয়েচদের বীরোচিত সংবর্ধনা দিয়েছে দেশের মানুষ। দেশে পৌঁছানোর পর ছাদখোলা বাসে রাজধানী রাবাত শহর প্রদক্ষিণ করে অ্যাটলাস লায়ন্সরা। জাতীয় বীরদের এক নজর দেখতে আর তাদের সমর্থন জোগাতে রাস্তার দুপাশে জড়ো হন দেশের সাধারণ জনগণ। এসময় রাজধানীজুড়ে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আট হাজার পুলিশ সদস্যও উপস্থিত ছিলো।