আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরে প্রাক্তন ভারতীয় ক্যাপ্টেন এখন একজন পুরোদস্তুর কৃষক। ক্যাপ্টেন কুল তাঁর ফার্মহাউসে বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি, ফলের চাষ করছেন। রাঁচিতে ফলমূল ও শাকসবজির প্রচুর চাহিদাও রয়েছে, ফলে এবার ক্রিকেটের পর কৃষিকাজেও সাফল্যের মুখ দেখছেন ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র মহেন্দ্র সিং ধোনি।
শুনলে অবাক হতে হবে যে, এবছরে ধোনির ফার্মহাউসে ১০ টন স্ট্রবেরি ফলেছে। অনুমান বলছে, এই বিশাল পরিমাণে স্ট্রবেরি চাষ করে ধোনির আয় হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। তবে শুধু স্ট্রবেরি না, ধোনির ফার্মহাউসে চাষ করা হয়েছে তরমুজও। প্রতিদিন ৩০০ কেজি তরমুজ মাঠ থেকে তোলা হচ্ছে। তাঁর ফার্ম হাইসে তরমুজের রেকর্ড চাষ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
৪৩ একরের বিশাল জায়গায় ধোনি এই চাষের কাজ শুরু করে। তরমুজ এখন বাজারজাত করার জন্য একেবারে তৈরি বলে জানিয়েছেন ধোনির ফার্মের চাষিরা। এমনকি ইতিমধ্যে তা বাজারে বিক্রিও শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে পুরোপুরি জৈব পদ্ধতিতে এই চাষ করা হয়। ফলে শাকসবজি ও ফলের স্বাদ আরও ভালো হয়।
ধোনি এক একর জমিতে ক্যাপসিকামও লাগিয়েছেন। ক্যাপসিকামও যথেষ্ট পরিমাণে ফলেছে বলে জানানো হচ্ছে। যেহেতু ধোনির ফার্মের ফসল তাই বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। বলা হচ্ছে, বাজারে ধোনির ফার্মের সবজি পঊছতে না পৌঁছতেই তা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। শুধু তরমুজ বা স্ট্রবেরি না, এর আগে বাঁধাকপি, টমেটো, আলু, পেঁয়াজ, ব্রকলি, কুমড়ো, কাঁঠাল, পেঁপেও বাজারে গিয়েছে ধোনির এই ফার্ম হাউস থেকেই।