খেলা

নিজেই নিজেকে অনুপ্রাণিত করেন মিরাজ

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, তার কাছে ম্যান অব দ্য ম্যাচ মেহেদী হাসান মিরাজ। কেন অধিনায়ক এমনটা বলেছেন তার কারণও রয়েছে।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মিরাজ। তার কল্যাণেই ৩০০ ছাড়িয়ে যায় দলের স্কোর। পরে বল হাতে প্রথম দুই স্পেলে খরুচে হলেও শেষ স্পেলে এসে তা পুষিয়ে দেন। নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট। যা ম্যাচ জয়ে রেখেছে বড় ভূমিকা।

শনিবার এক ভিডিও বার্তায় এমন পারফরম্যান্সের পেছনের গল্প বলেছেন এই অলরাউন্ডার। জানিয়েছেন কীভাবে সবার কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নিজেকে নিজেই অনুপ্রাণিত করেন বলেও জানান। এসবই না কি তার সাফল্যের মূলমন্ত্র।

মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘প্রথম চার ওভার যখন করেছিলাম, আমি নিজেই একটু কনফিউজড ছিলাম। কারণ, ওরা খুব ভালো ব্যাটিং করছিল এবং আমাকেই চান্স (মারছিল) নিচ্ছিল। আমি একটু কনফিউজড হয়ে গেছিলাম, কীভাবে বলটা করবো। পেছন থেকে মুশফিক ভাই বলছিল, একটু ভ্যারিয়েশন করে বল করলে ভালো হয়। কিন্তু আমি ওইরকম করতে পারিনি। ওই সময় আমার অবস্থা ওইরকম ছিল না। ওরা আমাকে চার্জ (ব্যাট চালানো) করতেছিল, আমি বেশি রান দিয়ে দিচ্ছিলাম।’


প্রোটিয়াদের হারানোর পর ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: গেট্টি ইমেজ

তিনি বলেন, ‘পরে মাঝখানে যখন আমাকে একটা ব্রেক (বিরতি) দেওয়া হলো, সেই ব্রেকে আমি নিজেকে মেন্টালি প্রস্তুত করে নিলাম। আমাকে ভালো করতে হবে। কারণ, এই ম্যাচ যদি ভালো না করতে পারি, তাহলে হেরে যাওয়ার চান্স থাকবে। তখন আমার ৫-৬ ওভার বাকি ছিল। মেন্টালি অনেক বুস্টাপ করেছি এবং নিজেই নিজের সঙ্গে কথা বলেছি যে, আমি পারবো ইনশাআল্লাহ। নিজেকে নিজেই অনুপ্রাণিত করেছি। দ্বিতীয় স্পেলে যখন বোলিংয়ে এসেছি তখন খুব ভালো হয়েছে।’

অধিকাংশ সময় নিজেই নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে পছন্দ করেন মিরাজ। এতে সাফল্যও ধরা দেয়। মিরাজ বলেন, ‘আমি যখনই কনফিউজড বা নার্ভাস থাকি, তখন নিজেকে নিজে প্রশ্ন করি এবং বলতে থাকি যে, আই ক্যান ডু ইট। আমি পারবো, আমি পারবো।  একবার না, অনেকবার বলতে থাকি। আমার এই জিনিসটা খুব ভালো লাগে যে, যখনই আমি কোনো কিছু নিয়ে হতাশ হয়ে যাই, তখন আমি নিজেকে নিজে বুস্টাপ করতে থাকি। নিজের সঙ্গে নিজে বুস্টাপ করলে মেন্টালি অনেক সাপোর্ট পাওয়া যায়।’

‘বিশেষ করে কালকে (১৮ মার্চ) যখন রান দিচ্ছিলাম, তখন তামিম ভাইকে আমি বলছিলাম যে ভাই, আপনি আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন, ইনশাআল্লাহ আমি উইকেট নিয়ে ম্যাচ বের করে দিতে পারবো। পেছন থেকে লিটন দা’ও আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে। ও আমাকে বারবার বলতেছিল যে, তুই পারবি, এখান থেকে একটা উইকেট বের করতে পারলে আমরা ম্যাচ জিতে যাবো।’

এমন বোলিংয়ের পেছনে সাকিব আল হাসানও তাকে অনেক সহায়তা করেছে জানিয়ে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘দ্বিতীয় স্পেলে যখন বোলিংয়ে এসেছি, তখন আমি চেষ্টা করেছি উইকেটটার ম্যারিট অনুযায়ী বল করার জন্য। হেল্পও পাচ্ছিলাম, উইকেট টার্ন করছিল। ওইভাবেই বল করার চেষ্টা করেছি। সাকিব ভাই আমাকে একটা কথা বলেছিল, এখানে আস্তে-জোরে মিক্স করে করলে ভালো হবে। আমি যখনই কনফিউজড থাকি, সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। কারণ, সাকিব ভাইতো খুব ভালো বোলিংয়ের অভিজ্ঞতা এবং ভালো রিট করে বল করতে পারে। ওনার সঙ্গে শেষ স্পেলেও কথা বলেছিলাম যে ভাই, এখানে কীভাবে করলে আমার জন্য ব্যাটার হবে। তখন তিনি আমাকে দুটি কথা বলেছিল, যা আমার অনেক কাজে দিয়েছে।’

Source link

Related posts

জেটি মিলার প্রথম পিরিয়ডের সাথে রেঞ্জার্সের প্রত্যাবর্তনে তাত্ক্ষণিক প্রভাব ফেলে

News Desk

দ্য নিক্স প্রায়ই আহত তারকাকে ট্রেড না করে জোয়েল এমবিড-আকারের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পায়

News Desk

লিংকন রিলি একটি USC কোয়ার্টারব্যাক খুঁজছেন স্থানান্তর পোর্টাল অনুসন্ধান করার আশা করবেন না

News Desk

Leave a Comment