মঙ্গলবার রাতে আলফ্রেদো দে স্তেফানো স্টেডিয়ামে ১-১ গোলে ড্র করেছে চেলসি। অল্প সময়ের মধ্যে গোছালো ফুটবল দিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছে তারা। তবে এই ম্যাচে ইংলিশ জায়ান্টদের জন্য সবচেয়ে বেশি খুশির খবর হলো একটি অ্যাওয়ে গোল আদায় করে নেওয়া। তবে অ্যাওয়ে গোলের কারণে ফিরতি লেগে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজেও ড্র করতে পারলেই ফাইনালে উঠে যাবে দ্য ব্লুজ খ্যাত চেলসি।
ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়াল শিবিরে চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে চেলসি। দশম মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও পায় তারা। তবে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের হেড ছোট বক্সে পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি টিমো ভেরনা। থিবো কার্তোর দুর্দান্ত সেভ থেকে রক্ষা পায় রিয়াল। তবে গোল করতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি চেলসির।
১৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। মাঝ মাঠ থেকে জার্মান ডিফেন্ডার অ্যান্টেনিও রুডিগারের বাড়ানো ক্রস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন পুলিসিক। এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কাটিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ান যুক্তরাষ্ট্রে এই মিডফিল্ডার। গোল হজমের পর বদলে যায় রিয়াল। এবার গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে তারা।
আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে ম্যাচের চিত্র বদলে যায়। ২৩তম মিনিটে বেনজেমার বুলেট গতির শট বারে লেগে বের হয়ে গেলে গোল বঞ্চিত হয় রিয়াল। তবে ছয় মিনিট পরই দলকে সমতায় ফেরান বেনজেমা। বাঁ পাশ থেকে মার্সেলোর ক্রসে এডার মিলিতাওয়ের হেড থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুর্দান্ত ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি তার ৭১তম গোল। এখন তার উপরে কেবল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি ও রবার্ট লেভানদোভস্কি।
বিরতির পর খেলার চিত্র বদলে যায়। দু’দলের কেউই খুব একটা আক্রমণে এগোয়নি। ধীরে ধীরে বল দখলে রেখে খেলা শেষের দিকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করে তারা। খানিক সময় পর পর বেশ বৃষ্টির মুখে পড়েছে খেলোয়াড়রা। বৃষ্টির কারণে খেলার গতি কমে যেতে থাকে। শেষের দিকে দু’দলের কোচই বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন। কিন্তু তাতে আর ম্যাচের ফল বদলায়নি। আগামী বুধবার দ্বিতীয় লেগ খেলতে ইংল্যান্ড যাবে রিয়াল।