৩৬ বছরের অপেক্ষার ইতি টেনে বিশ্বজয়ের গৌরব নিয়ে ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরেছে। বিশ্বজয়ের নায়কদের নিয়ে দেশবাসীর উচ্ছ্বাস বেশি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে মেসিরা দেশে ফেরার পর থেকেই তাদের অভ্যর্থনা জানাতে লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিলো আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আইয়ার্সে।
দেশে ফেরার পর মেসিদের শিরোপা উদযাপনের জন্য ছাদখোলয়া বাসে সংবর্ধনার ব্যবস্থাও করা হয়েছিলো। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে দেশে ফিরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে দুপুরের দিকে শুরু হয় বিশ্বজয়ীদের সেই ঐতিহাসিক বাস প্যারেড। মেসিদের অভ্যর্থনা জানাতে বুয়েস আইয়ার্সের রাস্তায় উপস্থিত হয়েছিলো প্রায় ৪ মিলিয়ন মানুষ। তবে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে নিরাপত্তাজনিত কারণে মাঝপথেই বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই শোভাযাত্রা।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ছাদখোলা বাসে শিরোপা উদযাপনের সময় লাখ লাখ সমর্থক মেসিদের চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। ফুটওভার ব্রিজ থেকে কয়েকজন সমর্থক সেই বাসের ওপর লাফও দেন। এ অবস্থায় ফুটবলারদের নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া ফুটভারব্রিজ থেকে থেকে লাফ দিতে গিয়ে নিচে পড়ে আহতও হয়েছেন কেউ। আর্জেন্টিনা দল আর সাধারাণ মানুষ, উভয়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মাজপথেই শোভাযাত্রা বন্ধ করে দেয় আর্জেন্টাইন প্রশাসন।
আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি চিকুই তাপিয়ে এক টুইটবার্তায় জানান, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনী আমাদের উদযাপন বন্ধ করতে বলেছে। খেলোয়াড়দের নাম নিয়ে বলছে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়।’
উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়তি তৎপরতা দেখা যায় নিরাপত্তাকর্মীদের মাঝে। ছাদখোলা বাস থেকে মেসিরা উঠে যান হেলিকপ্টারে। আকাশে উড়ন্ত অবস্থাতেই রাসাতায় দাঁড়ানো লাখো ভক্তের শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় সিক্ত হন বিশ্বজয়ের নায়করা। এরপর ফুটবলাররা সবাই যার যার নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। মেসি নিজেও হেলিকপ্টারযোগেই পৌঁছান নিজ শহর রোজারিওতে।