ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ৮০ লাখ টাকা সংগ্রহ হবে এই নিলাম থেকে। আগামী ১৯ থেকে ৩০ এপ্রিল নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির ওয়েবসাইটে যে কেউ এই বুটের জন্য বিড করতে পারবেন।
দাতব্য কাজে ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ নতুন কিছু নয়। বিশ্বে করোনা প্রকোপের পর ক্রিকেট-ফুটবলসহ ক্রীড়াঙ্গনের তারকারা এগিয়ে এসেছেন মানবতার সেবায়।
বিশ্বের অন্যতম ধনী ফুটবলার লিওনেল মেসিও করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই জনকল্যাণমূলক কাজে অংশ নিয়েছেন। চিকিৎসার সরঞ্জাম কিনতে বার্সেলোনার একটি হাসপাতালকে দান করেছেন এক মিলিয়ন ইউরো। আর্জেন্টিনার বেশ কয়েকটি হাসপাতালেও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনে দেন লিওনেল মেসি।
এবার শিশুদের চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছেন মেসি। দীর্ঘ দিন ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে শিশুদের নিয়ে কাজ করেছেন এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার। এবার ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহে ভূমিকা রাখছেন লিও মেসি।
গত বছরের ২২ ডিসেম্বর বার্সেলোনার হয়ে মেসি স্পর্শ করেন অনন্য এক মাইলফলক। রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে বিপক্ষে বার্সার হয়ে করেন ৬৪৪তম গোল। যা কোনো এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। এর মধ্য দিয়ে মেসি ভাঙ্গেন পেলের সান্তোসের হয়ে করা ৬৪৩ গোলের রেকর্ড।
সেই ম্যাচের পর মেসি তার বিশেষ বুটটি দিয়ে দেন কাতালান ন্যাশনাল আর্ট মিউজিয়ামে। যেখানে সংরক্ষণে আছে সভ্যতার নানা নিদর্শন, সেখানেই স্থান পায় মেসির বুটও। এবার মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ সেই বুটগুলো নিলামে তুলছে। ব্রিটিশ নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টিস তাদের ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে নিলামের ঘোষণা দিয়েছে।
অনলাইনে নিলাম চলবে ১৯ থেকে ৩০ এপ্রিল। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে এই নিলামে অংশ নিতে পারবেন যে কেউ। এই নিলাম থেকে বড় অংকের অর্থ প্রত্যাশা করছে ক্রিস্টি। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ১ লাখ ডলার দাম উঠবে মেসির বিশেষ বুটের। আর এই অর্থের পুরোটাই দেওয়া হবে বার্সেলোনার ভ্যান হেবরন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য।
এমন কাজে অংশ নিয়ে মেসি নিজেও বেশ তৃপ্ত। তিনি বলেন, ‘এক ক্লাবের হয়ে ৬৪৪ গোলের রেকর্ড গড়ে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে সব শিশু জীবন নিয়ে লড়ছে তাদের জন্য কিছু করা। আশা করি এ নিলাম তাদের সহায়তা করবে। এটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগে যারা এগিয়ে এসেছেন সবাইকে ধন্যবাদ। এটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।