গত দুই বিশ্বকাপে হেক্সা মিশনে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ভরসার নামটি ছিল নেইমার। ঘরের মাঠেই দেখা গেছে তার চোট ২০১৪ বিশ্বকাপে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। কাতারেও একই পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে সেলেসাওরা। এবারও কি কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে? সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে রাত ১০টায় আজ সেই পরীক্ষার জবাব দিতে নামবে ব্রাজিল।
দলে চোটের অবস্থা এমন নির্ভরযোগ্য ফুলব্যাক দানিলোকেও পাওয়া যাচ্ছে না। সার্বিয়ার বিপক্ষে দুই তারকার গোড়ালির চোটই বিপদে ফেলেছে। তবে আশার কথা হলো তিতের কাছে বিকল্প আছে অনেক। তরুণ প্রজন্মের এক ঝাঁক প্রতিনিধি আছেন এই দলটায়। ইউরোপিয়ান ফুটবলে যাদের ঝলক দেখা গেছে এরই মধ্যে। সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের অসাধারণ নৈপুণ্যে অবদান ছিল তিতের নির্ভরযোগ্য দুই তরুণ তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রিচার্লিসনের।
তাই বলা যায় নেইমার কিংবা দানিলোর অনুপস্থিতি ব্রাজিল কাটিয়ে উঠতে পারবে। দলের অন্যতম ডিফেন্ডার মার্কুইনহোসও বিশ্বাস করেন নেইমারের অনুপস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে দল, ‘এই দলটা শক্তিশালী। ভালোভাবে প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে। আমরা এখন যে কোনও ধরনের পরিবর্তনে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম।’
বিকাল ৪টায় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি সার্বিয়া-ক্যামেরুন। তাদের জন্য গ্রুপ জি’র ম্যাচটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। হার এড়াতে না পারলে বিদায় নিশ্চিত।
ব্রাজিলের কাছে ২-০ গোলে হেরে গ্রুপের তলানিতে অবস্থান করছে সার্বিয়া। অপর দিকে সুইজারল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরে ২০০২ সালের পর বিশ্বকাপের প্রথম জয়ের অপেক্ষায় ক্যামেরুন। আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নরা অবশ্য পুরনো ভুলগুলো পুনারবৃত্তি করতে চাইছে না। দলটির কোচ রিগোবার্ট সং বলেছেন, ‘সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে করা ভুলগুলো পুনরাবৃত্তি করতে চাই না।’
দক্ষিণ কোরিয়া ও ঘানাও মুখোমুখি সন্ধ্যা ৭টায়। উরুগুয়ের সঙ্গে ড্র করা কোরিয়া আজ জিতলেই শেষ ষোলোতে তাদের জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা জোরালো করবে। আর হারলে বিদায় হবে ঘানার। কোরিয়া এক পয়েন্ট আদায় করে নিতে পারলেও ঘানা পর্তুগিজদের কাছে ৩-২ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে।
এক নজরে: ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ড দুই দলই বিশ্বকাপে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে। দুটি ম্যাচ-ই ড্র হয়েছে। ১৯৫০ সালের ম্যাচটা ড্র হয় ২-২ গোলে। আর ২০১৮ সালের সর্বশেষ বিশ্বকাপে ড্র হয় ১-১ গোলে।