Image default
খেলা

নেইমারের সঙ্গে নাইকির সম্পর্কচ্ছেদের নেপথ্যে ‘যৌন হয়রানি’

বয়স তখন মাত্র ১৩। নেইমারের প্রতিভা চিনতে ভুল করেনি বিশ্বখ্যাত ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকি। সেই বয়সেই ব্রাজিলিয়ান বালককে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানিয়ে নেয় তারা। এরপর নেইমার মানেই নাইকি, নাইকি মানেই নেইমার।

দীর্ঘ ১৫ বছর এই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। এতদিনের সম্পর্কটা অবশেষে ভেঙে যায় গত বছরের আগস্টে। তখন জানা গিয়েছিল, নতুন চুক্তি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় দুই পক্ষ আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কিন্তু প্রায় ছয় মাস পর বের হয়ে এলো ভিন্ন এক তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চুক্তি নিয়ে বনিবনা না হওয়া মূল কারণ নয়, নেইমারের সঙ্গে নাইকির সম্পর্কচ্ছেদের নেপথ্যে ‘যৌন হয়রানি’।

তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেইমারের বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল নাইকি। অভিযোগ ছিল, নাইকির এক কর্মীকে যৌন হয়রানি করেছেন পিএসজি তারকা। কিন্তু নেইমার সেই তদন্ত কাজে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে রাজি হননি।

সেই ঘটনা জানেন, এমন লোকের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়- ২০১৬ সালে নিউইয়র্কে নাইকির এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন নেইমার। তখন হোটেলে নিজের রুমে জোর করে সেই কর্মীকে যৌন হয়রানি করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।

নিজের বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের সেই দিনের কথা জানিয়েছিলেন নাইকির সেই মহিলা কর্মী। ২০১৮ সালে এ নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। পরের বছর বাইরের একটি আইনি প্রতিষ্ঠানকে এই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয় নাইকি।

নাইকির জেনারেল কাউন্সেল হিলারি ক্রেন এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুরু হওয়া তদন্ত কার্যক্রমে সাহায্য করতে নেইমার অস্বীকৃতি জানানোয় নাইকি তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে।’

তদন্ত চলাকালীন নাইকির বিপণন ও প্রচারে নেইমারকে আর দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ বছরের সম্পর্কে ছেদ টানে দুই পক্ষ। পরে আরেক ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পুমার সঙ্গে স্পন্সর চুক্তি করেন নেইমার।

নেইমারের এক মুখপাত্র অবশ্য দাবি করেছেন, নাইকির সঙ্গে পিএসজি তারকার চুক্তি বাতিলের কারণ যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল না। তিনি বলেন, ‘এই ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে কোনো দাবি পেশ করা হলে নেইমার তা মোকাবিলা করবে। এখন পর্যন্ত অবশ্য সেরকম কিছুই ঘটেনি।’

বাণিজ্যিক কারণে নাইকি নেইমারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছিল বলে জানান সেই মুখপাত্র। ২০১৯ সালেও নেইমারের বিরুদ্ধে একবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় সে বছরের আগস্টে অভিযোগটি খারিজ করে দেন আদালত।

Related posts

রেঞ্জাররা স্বীকার করতে ইচ্ছুক না হওয়ার চেয়ে এনএইচএলের ময়লার মতো

News Desk

কেন কোপা আমেরিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

News Desk

বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিকতা দিবস আজ

News Desk

Leave a Comment