টি-২০ বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরুর আগে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর ফিফটিতে ভর করেই দেড়শ রানের কৌটা পার করে আফগানিস্তান।
ব্রিসেবেনের গ্যাবার টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থই প্রমাণ করেছিলেন ইনজুরি কাটিয়ে একাদশে ফেরা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। প্রথম ওভারেই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ উপহার দেন পাকিস্তানের সেরা পেসার।
এক ওভার বাদেই নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও আঘাত হানেন আফ্রিদি। আফগানদের আরেক ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাইকে বোলদ করে সাজঘরের পথ দেখান আফ্রিদি। ১১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আফগানিস্তান।
পঞ্চম ওভারে হারিস রউফের বলে দারউইশ রসুল আউট হলে বিপদ আরো বাড়ে আফগানদের জন্য। অষ্টম ওভারে নাজিবুল্লাহ জাদরানকেও ৬ রানে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। ৪৮ রানেই ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
আফগানদের হয়ে প্রাথমিকভাবে সেই চাপ সামাল দেন ইব্রাহিম জাদরান আর অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী মিলে। দুজনের জুটিতে আসে ৩৩ রান। তবে ৩৪ বলে ৩৫ রান করে সাদাব খানের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। তিন বল বাদেই শূন্য রানে ফিরে যান আজমতউল্লাহ ওমারজাই।
৮২ রানে ৬ উইকেট হারানো আফগানিস্তানকে বাকি পথ টেনে নিয়ে গেছেন অধিনায়ক নবী আর উসমান গণি মিলে। দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭১ রানের জুটিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের মতো আজও দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় আফগানরা।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। ৩৭ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৫১ রান তুলে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন। ২০ বলে হার না মানা ঝড়ো ৩২ রানে অধিনায়কে বেশ ভালো সঙ্গ দিয়েছেন উসমান গণি। পাকিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি আর হারিস রউফ।
১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। আফগানিস্তানের পক্ষে প্রথম ওভারে বল করতে আসেন পেসার ফজলহক ফারুকী। এই ওভারে ৭ রান দেন তিনি। তবে, সব রানই এসেছে এক্সট্রা থেকে। ব্যাট হাতে কোনো রান নিতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর দ্বিতীয় ওভার বল করতে এসে ১২ রান দেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। ইংসের তৃতীয় ওভারের আবার বোলিংয়ে আসেন ফারুকী। ওভারের দ্বিতীয় বলে বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টি না থামায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পরিত্যক্ত করা হয়।