গল টেস্টের চতুর্থ দিন জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে ৫০৮ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। ব্যাট করতে নেমে দিনশেষে সফরকারীদের সংগ্রহ দাঁড়ায় এক উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান। অর্থাৎ, পঞ্চম দিন পাকিস্তানকে করতে হবে আরও ৪১৯ রান। ক্রিজে ছিলেন দুই অপরাজিত ব্যাটার ইমাম উল হক ও অধিনায়ক বাবর আজম। জেতা হয়তো অসম্ভব ছিল। তাই সবাই ড্রয়ের আশা করেছিল। কিন্তু সেটা আর হলো না। ২৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে পাক বাহিনী।
আজ পঞ্চম দিন সকালে ব্যাট করতে নামার কিছুক্ষণ পরই ফিরে যান ইমাম উল হক। রমেশ মেন্ডিসের বলে কটবিহাইন্ডের শিকার হওয়ার আগে করেন ৪৯ রান। এক রানের জন্য অর্ধশত পূর্ণ করতে পারেননি। অপরপ্রান্তে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন বাবর আজম। ক্রমশ বড়ও হচ্ছিল। কিন্তু দলীয় ১৭৬ রানের সময় পাক শিবিরে আঘাত হানেন প্রবাত জয়াসুরিয়া। সরাসরি বোল্ড করেন ৩৭ রান করা রিজওয়ানকে। এর মধ্য দিয়ে থামে দুজনের ৭৯ রানের জুটি।
এরপর আর কোনো বড় জুটি হয়নি। একে একে সব ব্যাটারই ফিরে যান। কেবল একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন বাবর। কিন্তু সতীর্থদের ব্যর্থতায় তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। ১৪৬ বল মোকাবিলায় ৮১ রান করে যখন বাবর আউট হন, তখন সফরকারীদের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান। জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৪ উইকেট। যা কেবল সময়ের অপেক্ষা মনে হচ্ছিল। এবং সেটাই হলো। ২৬১ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। শেষ দিকে ইয়াসির শাহ ২৭ ও নাসিম শাহ ১৮ রান করেন।
শ্রীলঙ্কান বোলারদের মধ্যে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন প্রবাত জয়াসুরিয়া। এটি কেবল তার তৃতীয় টেস্ট এবং পাঁচ বা অধিক উইকেট শিকার এ নিয়ে চার বার। আর এই সিরিজে দুই টেস্টে নিলেন ১৭ উইকেট! সিরিজ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। এছাড়া রমেশ মেন্ডিন চার উইকেট নেন। অন্যটি রানআউট। এর আগে প্রথম টেস্টে জয় পায় পাকিস্তান।