চলমান এশিয়া কাপের অলিখিত রীতি হয়ে দাড়িয়ছে টস জিতলেই জেতা যাবে ম্যাচ। টস জিতে পরে ব্যাটিং করতে পারলেই দলের জয় নিশ্চিত। আজ দুবাইয়ের স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে শিরোপাযুদ্ধে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে যথারীতি ব্যাটিং করতে পাঠায় পাক অধিনায়ক বাবর আজম। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেননি পাকিস্তানি বোলাররা।
ইনিংসের প্রথম বলে ওয়াইড দিয়ে শুরু করেন পেসার নাসিম শাহ। লঙ্কানদের বিপদের শুরু তারপরেই। ম্যাচের তৃতীয় বলেই ১৪২ কি.মি. গতির দুর্দান্ত এক ইনসুইঙ্গারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে স্ট্যাম্প। লঙ্কান ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ উপহার দিয়ে সাজঘরে পাঠিয়েছেন নাসিম।
মাত্রই প্রথম ওভারের ধাক্কাটা সামলে ওঠার চেষ্টা করতেছিলো শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ওভারে হাসনাইনকে দুই চার আর তৃতীয় ওভারে নাসিমকে এক চারে পাল্টা আক্রমণের ইঙ্গিত দিয়েছিলো লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে তাদের আক্রমণে জল ঢেলে দেন হারিস রউফ। নিজের প্রথম ওভার করতে এসে দ্বিতীয় বলেই আরেক লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান রউফ। ১১ বলে ৮ রান করা নিশাঙ্কা ফেরেন পাক অধিনায়ক বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে।২৩ রানেই ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কানদের হয়ে পাক বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তবে ওপর প্রান্তে আবারও পতন উইকেটের। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারের প্রথম বলেই ১৫১ কি.মি. বুলেট ছুড়েছিলেন হারিস রউফ। এই গতির কোনো জবাব জানা ছিলো না লঙ্কান ব্যাটার দানুশকা গুনাথিলাকার। অফ স্ট্যাম্পের একটু বাইরে পিচ করে বুলেটের মতো ছুটে যাওয়া ওই বল ঢুকলো ভেতরের দিকে, তাকিয়ে দেখতে দেখতেই উড়ে গেছে গুনাথিলাকার অফ স্ট্যাম্প। ওভারের পঞ্চম বলে আরেকটি উইকেট পেয়ে যেতে পারতো পাকিস্তান। ভানুকা রাজাপাকসের পায়ে বল লাগলে জোরালো আবেদন করেন পাকিস্তানি বোলাররা। তবে সেই আবেদনে সাড়া দেননি বাংলাদেশের আম্পায়ার মাসুদুর রহমান। রিভিউ নিয়েছিলো পাকিস্তান, তাতে অবশ্য লাভ হয়নি।
পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৪২ রান। ৪ চারে ১৫ বলে ২৪ রান নিয়ে লঙ্কানদের হয়ে একমাত্র ধনঞ্জয়া ডি সিলভাই কিছুটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন পাক বোলারদের সামনে।
ইত্তেফাক/এসএস