দ্বিতীয় রাউন্ড প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু সুইডেনের সামনে প্রশ্ন ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড যাওয়া। সে লক্ষ্যটাই পূরণ হওয়ার পধে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল রবার্ট লেওয়ানডস্কির পোল্যান্ড। লেওয়ানডস্কির জোড়া গোলে সুইডেনের সঙ্গে সমান তালেই লড়াই করছিল পোলিশরা। কিন্তু ম্যাচের অন্তিম সময়ে এসে সর্বনাশটা ঘটে গেলো পোল্যান্ডের। ইনজুরি সময়ে (৯০+৩ মিনিট) গোল দিয়ে বসে সুইডেন। তাদেই পূর্ণ ৩ পয়েন্ট অর্জন করে নিলো তারা এবং সে সঙ্গে পোল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো সুইডিশরা।
পোল্যান্ডের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেলো একই সঙ্গে। কারণ, তিন ম্যাচ থেকে তাদের অর্জন কেবল ১ পয়েন্ট। স্পেনের সঙ্গে ড্র করেছিল তারা। অন্যদিকে ‘ই’গ্রুপে তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন সুইডেন। ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্পেন এবং ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্লোভাকিয়া। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হলেও ‘ই’ গ্রুপ থেকে কিন্তু পোল্যান্ডের সঙ্গে বিদায় ঘটে গেছে স্লোভাকিয়ারও। কারণ, গোল ব্যবধানে তারা অনেক পিছিয়ে। যে কারণে স্লোভাকিয়ার দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার আর সম্ভাবনা নাই।
সুইডেনের বিপক্ষে পুরো ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলেছে পোল্যান্ড। সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রচন্ড গরমের মধ্যেও পোলিশদের মনে হয়নি এতটুকু ক্লান্ত। বরং, দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য তিন পয়েন্টের সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল তাদের। যদিও ম্যাচের একেবারে শুরুতেই গোল হজম করে ফেলতে হয় রবার্ট লেওয়ানডস্কির দলকে। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করে বসেন সুইডেনের এমিল ফরসবার্গ। এরপর গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেও পোলিশরা প্রথমার্ধে পারেনি শোধ করতে।
দ্বিতীয়ার্ধে আবারও গোল হজম করে তারা। এবারও সুইডেনের হয়ে গোলদাতা এমিল ফরসবার্গ। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে যেন তেতে ওঠেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। ম্যাচের ৬১ মিনিটেই প্রথম গোল শোধ করে দেন তিনি। ৮৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোলও শোধ করে দিলেন রবার্ট। ২-২ গোলে সমতায় যখন ম্যাচ, তখন গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে পোল্যান্ড। যে কারণে তারা ওপেন নেট করে দেয়। সে সুযোগেই ইনজুরি টাইমে গোল করে বসে সুইডেন। গোল দেন ভিক্টর ক্লেসন।