অনেক দিন ধরে মাথা ব্যথার কারণ বাংলাদেশের ওপেনিং পেয়ার। নির্ভরতা খুঁজতে এশিয়া কাপ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই পরীক্ষায় খুব বেশি সফলতা মিলেছে; সেটি বলার সুযোগ নেই। ত্রিদেশীয় সিরিজে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে সুযোগ পাওয়া সাব্বির রহমানতো বিশ্বকাপ দল থেকেই ছিটকে গেছেন। সোমবার নেদাল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানেও কী লাল-সবুজ জার্সিধারীরা ওপেনিং নিয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলবে? এমন প্রশ্নে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
এশিয়া কাপের মতো ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ওপেন করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। দ্বিতীয় ম্যাচে মিরাজের সঙ্গে ওপেন করতে পাঠানো হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। পরের ম্যাচে আবার পরিবর্তন। মিরাজকে বাদ দিয়ে শান্তর সঙ্গে পাঠানো হয় লিটন দাসকে। শেষ ম্যাচে আবার ওপেনিংয়ে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। অথচ ওপেনিং পজিশনে সবচেয়ে সফল লিটনকে এই জায়গার জন্য বিবেচনাই করা হচ্ছে না!
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছিল লিটনকে ওপেনিংয়ে ফেরানো হবে কিনা। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সাকিব পাল্টা প্রশ্ন করে বলেছেন, ‘আপনার কি মনে হয় লিটন ওপেন করলে আমরা জিতবো কিংবা ওপেনার ঠিক হয়ে গেলে জিতবো?’
সাকিব মনে করেন, দলের ১৫ জনকেই যে কোন পজিশনে ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, ‘দেখুন এখানে ১৫ জন খেলতে এসেছে। সবাই তৈরি এবং ফিট। সবাই প্রতিটি পজিশনের জন্যই মানিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য রাখে। দলের প্রয়োজনে যাকে যেখানে খেলতে হয়, যে ওভার বল করা লাগে, যে জায়গায় ফিল্ডিং করা লাগে; সবাই সেটার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’
সাকিব আরও যোগ করে বলেছেন, ‘আর বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেই দলগুলোই ভালো করে যাদের মানিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য ভালো। আশা করি, আমাদের দলের সেই জ্ঞানটা আছে এবং এই সম্পর্কে সবাই অবগতও। যাকে যখন যেখানে লাগবে তার জন্য সবাই প্রস্তুত থাকবে। এখান থেকে আমাদের এগারোজনকে বেছে নিতে হবে।’
লিটন যে ওপেনিং পজিশনে সবচেয়ে সফল সেটি মনে করিয়ে দিতেই কিছুটা রেগে গিয়েছিলেন সাকিব। প্রশ্নকর্তাকে উদ্দেশ্যে করে বলেছেন, ‘আপনি যেভাবে বলছেন, সেভাবে আসলে আপনাকে ডিসিশন মেকারের জায়গায় রাখতে হবে।’