প্রথমবারের মত আয়োজিত নারী অনুর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার সিক্সের ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। শনিবার (২১ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের কিশোরীরা। ১০৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় প্রোটিয়া কিশোরীরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন দুই ওপেনার আফিয়া প্রত্যাশা ও মিষ্টি শাহা। তবে দলীয় ২৬ রানে ১৪ বলে ১২ রান করে আউট হন মিষ্টি শাহা। এরপর ক্রিজে আসা দিলারা আক্তারকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখে আরেক ওপেনার আফিয়া প্রত্যাশা।
তবে দলীয় ৫১ রানে ফের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২০ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান দিলারা আক্তার। দিলারার বিদায়ের পর দ্রুতই আউট হন আফিয়া প্রত্যাশা। দলীয় ৫৬ রানে ৩৩ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
এরপর স্বর্না আক্তার ও সুমাইয়া আক্তার মিলে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৮৭ রানে ১৮ বলে ২০ রান করে আউট হন স্বর্না আক্তার। স্বর্নার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান মারুফা আক্তার।
এরপর ক্রিজে আসা রাবেয়া খানকে সঙ্গে নিয়ে রান ব্যাটিং চালিয়ে যান সুমাইয়া আক্তার। ইনিংসের শেষ বলে ২৮ বলে ২৪ রান করে আউট হন সুমাইয়া। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের কিশোরীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কায়লা রেইনেকে নেন ৪টি উইকেট।
১০৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ৪ রানে ১১ বলে ২ রান করে আউট হন ইলান্দ্রি জানসে ভ্যান রেন্সবার্গ। এরপর ক্রিজে আসা কায়লা রেইনেকেকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ওপেনার সিমোন লরেন্স।
তবে দলীয় ৩০ রানে ২২ বলে ২৬ রান করে আউট হন সিমোন লরেন্স। এরপর দলীয় ৩৩ রানে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় প্রোটিয়ারা। ৯ বলে ৪ রান করে কায়লা রেইনেকে ও ২ বলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান মিয়ানে স্মিথ।
তবে এরপর ম্যাডিসন ল্যান্ডসম্যান ও কারাবো মেসোর ৭০ রানের জুটিতে জয়ের ভীত পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ১০৩ রানে ৩৮ বলে ৩৭ রান করে আউট হন ম্যাডিসন ল্যান্ডসম্যান। এরপর অলুহলে সিয়োকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন কারাবো মেসো।
কারাবো মেসো ৩০ বলে ৩২ ও অলুহলে সিয়ো ১ বলে ১ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে রাবেয়া খান নেন ৩টি উইকেট।