ফাইনালে বিরতিতে সতীর্থদের তাতিয়ে দিয়েছিলেন এমবাপ্পে
খেলা

ফাইনালে বিরতিতে সতীর্থদের তাতিয়ে দিয়েছিলেন এমবাপ্পে

কয়েক দিন আগেই শেষ হয়েছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপে ২২তম আসরের খেলা। মরুর দেশে এবারের আসর সেরা হয়েছে ল্যাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। সবশেষ ২০০২ সালে ব্রাজিলের হাতে ধরে ল্যাতিনে ট্রফি গিয়েছিল। এরপর ২০ বছর ল্যাতিনের আর কোনো দল বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের ঘরে তুলতে পারেনি।




এবারের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ, ফাইনালে খেলছে আসরের অন্যতম সেরা দুই দল। অথচ মাঠের খেলা বলছিল ভিন্ন কথা। প্রথমার্ধ শেষ অথচ দুই গোলে পিছিয়ে ফ্রান্স, বল দখল কিংবা গোলে শটেও অবস্থা যাচ্ছেতাই। একপেশে সেই ফাইনাল পরে রূপ বদলেছে। তর্কাতিতভাবে হয়েছে ইতিহাসের অন্যতম স্নায়ুচাপী শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। আড়ালে কিংবা সামনে, দুজায়গায় কাজটির প্রভাবক ছিলেন এমবাপ্পে।



গত রবিবার লুসাইলের ফাইনালে জমজমাট লড়াইয়ের ম্যাচে টাইব্রেকারে রাশিয়া বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল ফ্রান্সকে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। এ ম্যাচে প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করে পিছিয়ে ছিল ফ্রান্স। তবে ম্যাচের ভোল পালটে যায় দ্বিতীয়ার্ধে। রং পালটে দেন ফরাসি স্পিড স্টার কিলিয়ান এমবাপ্পে। সেই ফাইনালের বিরতিতে সতীর্থদের ড্রেসিং রুমে তাতিয়ে ছিল এমবাপ্পে। ড্রেসিং রুমে সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।



গত মঙ্গলবার একটি ফরাসি টিভি চ্যানেলে ফাঁস হয় ড্রেসিং রুমের ভেতরের এসব কথা। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এমবাপ্পে বলছেন, ‘এটা বিশ্বকাপ ফাইনাল। এটা জীবনের ম্যাচ। আমরা কখনোই খারাপ খেলতে পারি না। ওরা দুই গোলে এগিয়ে রয়েছে। মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দাও, বোকার মতো ফুটবল খেলা বন্ধ কর। আরো তীব্রতা নিয়ে খেল, সবটা দিয়ে দাও।’



এরপর এমবাপ্পেকে আরো একবার বলতে শোনা যায়, ‘আমরা দুই গোলে পিছিয়ে রয়েছি। কিন্তু আমরা এখনো বিশ্বকাপ জিততে পারি। চল মাঠে নেমে নিজেদের উজাড় করে দিই। চার বছরে এমন সুযোগ পাওয়া যায়।’

এ সময় এমবাপ্পের পাশাপাশি ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশমকেও দেখা যায় ভিডিওতে। এমবাপ্পে থামলে তিনি শুরু করেন। ছেলেদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি রাগ না করেই বলছি, দুটো দলের মধ্যে পার্থক্য কী জানো? ওরা বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলছে। আর আমরা সেটা খেলছি না। এটাই যা পার্থক্য। প্রথমার্ধ আমাদের শক্তি, আমাদের ক্ষমতার প্রতিফলন নয়। আমাদের কোয়ালিটি আছে, ক্ষমতা আছে, চারিত্রিক দৃঢ়তা আছে। আমি এটা পছন্দ করি। হারলে চলবে না। খুব দ্রুত সব শেষ হয়ে গেছে। এখনো সময় আছে। শেষ পর্যন্ত নিজেদের ওপরে বিশ্বাস রাখতে হবে।’



এরপরে দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্সের হয়ে এমবাপ্পে প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল করার এক মিনিটের মধ্যেই অনবদ্য ভলিতে ম্যাচে সমতা ফেরান। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও দ্বিতীয়ার্ধে মেসির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ফের পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান এমবাপ্পে। এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ ফলে ফ্রান্সকে হারিয়ে মেসি তার ক্যারিয়ারের প্রথম এবং ৩৬ বছর পরে দেশের হয়ে তৃতীয় শিরোপাটি জয় করেন। তবে সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে আটটি গোল করে সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছেন এই দলের নায়ক এমবাপ্পেই।

Source link

Related posts

ডজার স্টেডিয়ামে কোরি সিগারের প্রত্যাবর্তন তার প্রস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে

News Desk

ম্যাভেরিক্স এনবিএ ফাইনালে প্রতিকূলতাকে অস্বীকার করে

News Desk

আফগানিস্তান ২-১ বাংলাদেশ, এবার আশা ২-৩ এর

News Desk

Leave a Comment