ভানুকা রাজাপাকসের দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে ৪৫ বলে অপরাজিত ৭১ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন রাজাপাকসে। লঙ্কানদের ফাইনালে তুলে শিরোপা জয়ে বড় অবদান রাখেন স্পিন অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ডি সিলভাও। পুরো টুর্নামেন্টে ৬৬ রান ও ৯ উইকেট নেন হাসারাঙ্গা। এমন পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন হাসারাঙ্গা।
গতকাল দুবাইয়ের স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাক বোলারদের তোপের মুখে প্রথমেই বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ৫৮ রানেই তারা হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। এরপর ব্যাট হাতে দুর্দান্ত লড়াই করেন ভানুকা রাজাপাকসে। লড়াইয়ে তার সাথে সঙ্গ দেন হাসারাঙ্গা। ষষ্ঠ উইকেটে ৩৬ বলে ৫৮ রান যোগ করেন তারা। ২১ বলে ৩৬ রান করে সেই জুটিতে বড় অবদান রাখেন হাসারাঙ্গা।
হাসারাঙ্গা ফেরার পর চামিকা করুণারত্নকে নিয়ে আবারও হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়েন রাজাপাকসে। এই জুটিতে ঝড়ো গতিতে ৩১ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৪ রান তুলেন রাজাপাকসে। রাজপাকসের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বিপর্যয় কাটিয়ে ৬ উইকেটে ১৭০ রানের বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। পরে পাকিস্তানকে ১৪৭ রানে গুটিয়ে দেয় লঙ্কান বোলাররা। এর মধ্যে প্রমদ মাধুশান ৩৪ রানে ৪টি ও হাসারাঙ্গা ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন।
শ্রীলঙ্কার জয়ে অবদান রাখায়, ফাইনালের সেরা হন রাজাপাকসে। ম্যাচ শেষে তিনি জানান, ‘আমাদের লক্ষ্যই ছিল ইতিবাচক থাকা। কোন চাপ না নিয়ে নিজেদের খেলাটাই খেলা। তাই বড় রান পেতে ইতিবাচক থাকাটাই কাজে দিয়েছে। ১৪০ রান করার মত উইকেট ছিলো ফাইনালে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকায় বড় সংগ্রহ পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই উইকেটে খেলাটা খুব বেশি সহজ ছিলো না। পাকিস্তান শুরুতে দারুণ বল করেছে। হাসারাঙ্গা আসার পর আমরা নতুন পরিকল্পনা করি। পাকিস্তানের বোলারদের পাল্টা আক্রমণ করবো। সেই পরিকল্পনাই কাজে দিয়েছে।’
টুর্নামেন্টের সেরা হওয়া হাসারাঙ্গা বলেন, ‘আমরা প্রথম ম্যাচ হারের পর যেভাবে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছি, এজন্য দলের সকলকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ফাইনালে পাকিস্তান শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিলো। তবে আমাদের লক্ষ্য ছিলো, চাপ না নেয়া ও আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলা। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও দেশকে এশিয়ার সেরার মুকুট এনে দিতে পেরেছি, এটিই সবচেয়ে বড় অর্জন।’