টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৬৫ রানে হায়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। শনিবার (২৯ অক্টোবর) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। ১৬৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড পেসারদের বোলিং তোপে ১০২ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।
১৬৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন পাথুম নিশানকা। স্কোরবোর্ডে রান তোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর দ্বিতীয় ওভারে আরেক ওপেনার কুশাল মেন্ডিসও ফিরে যান সাজঘরে। দলীয় ৪ রানে ৩ বলে ৪ রান করে ফিরে যান তিনি।
এরপর দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ক্রিজে এসেই আউট হন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৩ বল খেলে শূন্য হাতে ফিরে যান তিনি। দুই জনকেই সাজঘরে ফেরান পেসার বোল্ট। এরপর চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে আবারও উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ৮ রানে ৮ বলে ৪ রান করে আউট হন চারিথা আসালাঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ৬ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা।
পাওয়ার প্লের পরেই আবারও উইকেট হারায় লঙ্কানরা। সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই আউট হন চামিকা করুনারত্নে। ৮ বলে ৩ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। লঙ্কান অধিনায়ককে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন ভানুকা রাজাপাকশে। ছষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৩৪ রান তোলেন এই দুই ব্যাটার। কিন্তু দশম ওভারের শেষ বলে ২২ বলে ৩৪ রান করে আউট হন ভানুকা রাজাপাকশে। দলীয় ৫৮ রানে লকি ফারগুসনের বলে উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ভানুকার বিদায়ের পর পরই সাজঘরের পথ ধরেন ক্রিজে আসা। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দলীয় ৬৪ রানে ৬ বলে ৪ রান করে ফিরে যান তিনি।
ইনিংসের ১২ তম ওভার শেষে ৬৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লঙ্কানরা। এর পরের ওভারে উইকেট বিলানোর মিছিলে যোগ দেন মহেশ থিকশানা। ৩ বলে ০ রান করে আউট হন তিনি। অন্যদিকে কিছুটা সাবলীল ভাবে ব্যাট করতে থাকে দাসুন শানাকা। ক্রিজে আসা কাসুন রাজিথাকে নিয়ে নবম উইকেট জুটিতে ২৮ রান যোগ করেন দাসুন শানাকা।
ইনিংসের ১৭ তম ওভারে ৩২ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে আউট হন লঙ্কান অধিনায়ক। শেষ ব্যাটার হিসেবে লাহিরু কুমারা আউট হলে মাত্র ১০২ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। এই জয়ে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে এগিয়ে গেলো কিউইরা।