কিলিয়ান এমবাপ্পের প্রভাব ও জনপ্রিয়তা তাহলে ফুটবলের বাইরেও আছড়ে পড়ছে এবং সেটি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও!
গত পরশু ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে জিতেছেন মধ্যপন্থী এমানুয়েল মাখোঁ। হেরে যান কট্টর ডানপন্থী মেরিন লঁ পেন। তবে ফরাসিরা নিজেদের প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে গিয়ে শুধু এ দুজনকেই ভোট দেননি, ভোট পেয়েছেন পিএসজির তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পেও!
ঘটনাটা খুলেই বলা যাক। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০ ভোট পেয়েছেন এমবাপ্পে। এ নির্বাচনেই ৫৮.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছেন মাখোঁ। ফ্রান্সের নির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট কিছু দিন আগে এমবাপ্পের পিএসজিতে থেকে যাওয়ার পক্ষে কথা বলেন।
বোঝাই যাচ্ছে, ফ্রান্সে এমবাপ্পের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন চলে না। ফরাসিরা ফুটবলে তাদের ‘পোস্টার বয়’কে এতটাই ভালোবাসেন যে দেশের নির্বাচনেও অত্যুৎসাহীরা তাঁর জন্য আলাদা ব্যালট পেপার বানিয়েছেন।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
পিএসজিতেই কি থাকবেন এমবাপ্পে
পিএসজিতেই কি থাকবেন এমবাপ্পেছবি: এএফপি
ফ্রান্সের আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যম ‘রিপাবলিকান ইস্ট’ জানায়, দেশটির পূর্বে দুই অঞ্চলের তালনে গ্রামে এমবাপ্পের নামে ১০টি ভোট পড়ে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে ব্যালট ব্যবহার করা হয়েছে, অবিকল তেমন ব্যালটই এমবাপ্পের জন্য বানিয়েছেন সমর্থকেরা।
প্রিন্ট করা সেই ব্যালটে গ্রামটির মোট ৩৪৮ ভোটারের মধ্যে ১০টি ভোট পেয়েছেন ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতানো এই তারকা। বলা বাহুল্য, এই ব্যালট অবৈধ হিসেবে গণ্য করেছে কর্তৃপক্ষ।
তালনের মেয়র লুদোভিস বারবারোসা ‘লা পারিসিয়ান’কে বলেছেন, ‘প্রথমে দেখলাম একটা ভোট, এরপর দুটি, তারপর তিনটি—কাজটা বেশ ভালোভাবেই করা হয়েছে।
কারণ, ব্যালট দেখে হুবহু আসল মনে হয়েছে। তবে (প্রার্থীর) নামটা কলম দিয়ে খোদাই করা হয়নি। কম্পিউটারে টাইপ করে প্রিন্ট করা হয়েছে। কিলিয়ান এমবাপ্পে যদি আমাদের গ্রামটা দেখতে আসতে চান, তাঁকে স্বাগত।’