করোনাকালীন সময়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপনই যেখানে চ্যালেঞ্জিং, সেখানে এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেট আরও বেশি চ্যালেঞ্জের। দ্য নিউ নরমালে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরিতেও বেশ বেগ পেতে হয়। সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে আক্রান্ত হওয়ার উদাহরণ আছে অনেকে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরও স্থগিত হয়েছে একই কারণে। এবার বাংলাদেশে এসে আক্রান্ত হয়েছেন শ্রীলঙ্কার তিনজন ক্রিকেটার। যদিও পরে দুজনের ফল নেগেটিভ এসেছে।
ম্যাচের দিন ক্রিকেটারদের করোনা আক্রান্তের খবর উদ্বেগ ছড়ায়। ম্যাচ নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়। তবে সেই শঙ্কা উড়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়িয়েছে খেলা। মাঠে খেলা ফিরলেও প্রশ্ন উঠেছে জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে। তবে বাংলাদেশের সুরক্ষা বলয় তৈরিতে কোনো সমস্যা দেখছে না সফরকারী দল। বরং শ্রীলঙ্কা দলকে যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে সেটি যথেষ্ট এর চেয়েও বেশি বলছেন লঙ্কানদের টিম ম্যানেজার মনুজা কারিয়াপেরুমা।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে সেটি যথেষ্ট এর চেয়েও বেশি। আমি দারুণ একটা সিরিজের জন্য অপেক্ষা করছি। নিউ নরমালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাদের সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে আমাদের সেরা সুযোগ-সুবিধা দিতে। এটা আমরাও বুঝি এবং অন্য দেশে আসলে এসব মানিয়ে নিতে হবে।’
সঙ্গে যোগ করেন কারিয়াপেরুমা, ‘দুই বোর্ডের মাঝে সম্পর্ক প্রশংসনীয়। যদি কিছু ঘটেও থাকে, আমরা এর সমাধান করতে পারব, ফলে সেদিক দিয়ে একেবারেই সমস্যা নেই। আমার মনে হয় দুই বোর্ড এবং কর্মকর্তাদের মাঝে দারুণ একটা সমঝোতা আছে।
করোনা আক্রান্তের খবরে শ্রীলঙ্কা দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, কোভিড প্রোটকল নিয়ে আইসিসির একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে বোর্ডগুলোকে। বিসিবি সে প্রটোকল মেনে চলছে।
মিপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন জানান, ‘আমাদের আইসিসির একটা গাইডলাইন আছে। আর যে দলের সঙ্গে খেলা তাদের সঙ্গে একটা সমঝোতা হয়। এবং কী হলে কী হবে সেটার সব কিছু সেখানে লেখা আছে। কেউ যদি পজিটিভ হয়, তখন কী হবে। ডাক্তার দেখাতে হলে কে দেখবে, টেস্ট করাতে হলে কোন জায়গায় গিয়ে করবে, সমস্ত কিছু প্রোটোকল করা আছে।’
কঠোর সুরক্ষা বলয়ে মধ্যে থেকে কারো পজিটিভ হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান পাওন, ‘বায়ো বাবলে নেগেটিভ কারও গিয়ে পজেটিভ হওয়াটা অস্বাভাবিক। মানে এটা আমরা মনে করি সামথিং যেটা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও হতে তো পারেই। সে জায়গায় তিন জনের হয়েছে। তিন জনের হওয়ার পর ন্যাচারালি তাদের আইসোলেট করা হয়। তাদের কোনো উপসর্গ নাই। যখন সেকেন্ড টেস্ট করল তখন নেগেটিভ। একজনের আসলো পজিটিভ।