বাংলাদেশের ১৫৩ রানে সাকিবের অবদান ২৯ বলে ৪২। এই ইনিংসের তাৎপর্য না ম্যাচটা না দেখলে বোঝা কঠিন। তবু একটু চেষ্টা করা যায়-সাকিব যখন উইকেটে এলেন বাংলাদেশ ৪.৩ ওভারে ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদের মুখে। ১৩.৩ ওভারে সাকিব যখন আউট হলেন বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ১০১ রান তুলে বড় সংগ্রহের পথে।
ওমানের বিপক্ষেও তাঁর কাছ থেকে তেমন পারফরম্যান্স দেখা গেল। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ২৮ বলে ২০ রান করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। ১৭ রানে ২ উইকেট নিলেও বাংলাদেশকে জেতাতে পারেননি।
বাংলাদেশের ১৫৩ রানে সাকিবের অবদান ২৯ বলে ৪২। এই ইনিংসের তাৎপর্য না ম্যাচটা না দেখলে বোঝা কঠিন। তবু একটু চেষ্টা করা যায়—সাকিব যখন উইকেটে এলেন বাংলাদেশ ৪.৩ ওভারে ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদের মুখে।
১৩.৩ ওভারে সাকিব যখন আউট হলেন বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ১০১ রান তুলে বড় সংগ্রহের পথে। শেষের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সংগ্রহটা শেষ পর্যন্ত খুব বড় না হলেও জয়ের জন্য তা শেষে যথেষ্ট হয়ে উঠেছে সাকিবের বোলিংয়েই। মোস্তাফিজুর রহমানের ৪ উইকেট নেওয়ার অবদান স্বীকার করেই কথাটা বলা যায়।
কীভাবে? প্রথম ৩ ওভার শেষে ১ উইকেটে ২৬ রান তুলে ফেলে ওমান। পরের ওভারে সাকিবকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৭ রান দিয়ে শুরুটা সাদামাটা হয় সাকিবের। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ১০ রান দিয়ে শঙ্কায় ফেলে দিয়েছিলেন তিনি—বাংলাদেশের সেরা স্পিনার কি তবে ব্যর্থ হবেন! কিন্তু রোমাঞ্চের তখনো বাকি ছিল।
মাহমুদউল্লাহ এরপর সাকিবকে আক্রমণে এনেছেন ম্যাচের খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি মুহূর্তে।
হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ৪৮ বলে ৭২ রানের দূরত্বে ছিল ওমান। এমন পরিস্থিতিতে ১৩তম ওভারে সাকিবকে বোলিংয়ে আনেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৩৩ বলে ৪০ রান করে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা যতীন্দর সিংকে সে ওভারে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান সাকিব। এরপর ১৭তম ওভার—হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ওমান ২৪ বলে ৫০ রানের দূরত্বে ছিল।
বোলিংয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট এবং ব্যাটিংয়ে ৬ চারে সাজানো ইনিংসে ম্যাচসেরা সাকিব যেন বুঝিয়ে দিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েই তিনি সব্যসাচী-ছন্দে ফিরলেন।