সেদিন পার্থে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটা দেখছিলাম। ভারত একমাত্র স্পিনার হিসেবে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দলে নিয়েছিল। মাঝের ওভারে অশ্বিনকে বোলিং করতে দেখে সাকিব আল হাসানের কথা মনে পড়ল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিবও নিজে আগে বোলিং করে ফেলতে পারত। মোসাদ্দেককেও শেষের জন্য না রেখে আরও আগে বোলিংয়ে আনা যেত। ভারত যেমন অশ্বিনকে শেষের জন্য জমিয়ে রাখেনি। আমরা এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারি। সেদিনের মতো স্পিনে ঝুঁকি না নিয়ে পেস–নির্ভরতা বাড়ানো যায় কি না, সেটা নিয়েও ভাবা উচিত।
বাংলাদেশ দলে চার পেসার দেখতে চাই
সে জন্যই আমি দলে একজন বাড়তি পেসার রাখার পক্ষে ভোট দিতে চাই। আমাদের উচিত চার পেসার নিয়ে খেলা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ যে তিন পেসার নিয়ে খেলছে, প্রত্যেকেই দুর্দান্ত বোলিং করছে। সে ক্ষেত্রে চারজন পেসার খেলানোর বিষয়টি ভাবাই যায়। কারণ, ইবাদত হোসেন—দুজনই ভালো ছন্দে আছে। সুযোগ পেলে ওরাও নিশ্চয়ই অস্ট্রেলীয় কন্ডিশন উপভোগ করবে।
অস্ট্রেলীয়দের কাল সেটাই করতে দেখলাম। ফিঞ্চ ১৬ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করে গেল। বাকিরা তাকে সঙ্গ দিয়েছে আগ্রাসী ব্যাটিং করে। এখন দেখছি অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট নিউজিল্যান্ডের সমান। আফগানিস্তানকে শেষ ম্যাচে হারাতে পারলেই অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে যাবে। আরেক বড় দল ইংল্যান্ডকে জয় পেতে হবে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে যাওয়ার পথটা তাই তুলনামূলক কঠিন মনে হচ্ছে।