দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচনা বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচ। যে আলোচনার ঢেউ ঢাকা, কলকাতা ও দিল্লি ছাপিয়ে এখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের দোহাতেও। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ফিরতি ম্যাচ। ২০১৯ সালে কলকতায় দুই দেশের ম্যাচ ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে।
বাংলাদেশ ও ভারত-দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ কাতারের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। করোনার কারণে, কোন সমর্থকই ভিড়তে পারে না দলের কাছে। ফুটবলারদেরও নির্দিষ্ট গন্ডির বাইরে বের হওয়ার সুযোগ নেই। যে কারণে ম্যাচটি ঘিরে প্রবাসিদের উত্তেজনা পুরোটা বুঝতে পারছেন না তরা। তবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের সঙ্গে অনেকেই ফোনে যোগাযোগ করে ফুটবলারদের খোঁজখর নিচ্ছে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত ম্যাচটির পর বাংলাদেশ দল নিয়ে প্রবাসিদের আগ্রহ বেড়েছে অনেক। বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচ ঘিরে কেবল দুই দেশেই নয়, আলোচনার ঢেউ তৃতীয় দেশ কাতারেও।
কলকাতার সল্টলেকে জিততে জিততে ড্র করেছিল ভারত। শেষ মুহূর্তে গোল দিয়ে হার এড়িয়েছিল স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের হোম ম্যাচটি এখন হচ্ছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। কলকাতায় জ্বলে উঠতে পারলে দোহায়ও পারবে জামাল ভূঁইয়ারা- এ আত্মবিশ্বাসে ডুবে আছে লাল-সবুজ জার্সিধারী সমর্থকরা।
রাংকিয়ে দুই দেশের পার্থক্য ৭৯ ধাপ। আলোচনায় এসব থোড়াইকেয়ার করছে সমর্থকরা। এমনকি এগিয়ে থাকা ভারতও কোনোভাবে র্যাংকিং দিয়ে দুই দলের শক্তির তুলনা করতে রাজি নয়। সুনিল ছেত্রি ও তার সতীর্থরা বলছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ হবে।
কাগজ-কলমের শক্তিতে ভারত ফেবারিট। যে কারণে, তাদের এগিয়ে রেখেই বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে ম্যাচ থেকে পয়েন্ট পাওয়াকেও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে বলেছেন- পয়েন্ট পেলেই তিনি খুশি।
কোচের মতো জামাল-তপুরাও আত্মবিশ্বাসী। তারা টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট নিয়ে ফিরবে বলেই আশা করছেন।