বিশ্ব জুড়ে লিওনেল মেসির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ক্লাব এবং জাতীয় দল মিলিয়ে তার ভক্তের অন্ত নেই। এবার কাতারে লিওনেল মেসি খেলছেন তার শেষ বিশ্বকাপ। তাই শুরু থেকেই ভক্তরা সংগ্রহ করছিল তার জার্সি। তবে ফাইনালে উঠার পর জার্সি সংগ্রহের চাহিদা আরও বেড়ে যাওয়ায় বাজারে দেখা দিয়েছে সংকট। এতে ক্ষিপ্ত ভক্তরা অন্যদিকে মেসির জার্সি চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে প্রখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস।
যে কোনো সাইজ-ই হোক না কেন ফাইনালের আগে আইডল মেসির জার্সি সংগ্রহের ধুম পড়েছে ভক্তদের। তবে বিশ্বব্যাপী সব আউটলেটে বিক্রি হয়ে গেছে সব জার্সি। এমনকি অ্যাডিডাসের স্টক থাকা জার্সিও ফুরিয়ে গেছে। হোক সেটা বুয়েনস আইরেস, মাদ্রিদ, দোহা কিংবা টোকিও কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না মেসির জার্সি! তাই বিপাকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার জার্সি শুধু অ্যাডিডাস কোম্পানি তৈরি করে। তাই আসল জার্সির সন্ধানে বিশ্বব্যাপী তাদের শোরুমে ভিড় জমতে শুরু করে সমর্থকরা। কিন্তু বর্তমানে ঘাটতির কারণে নকল জার্সি কেনার পথে হাঁটছে তারা।
এদিকে জার্সিসংকট নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) কাছে। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে এএফএ জানিয়েছে, ‘আমরা এ ব্যাপারে কিছুই করতে পারব না, যদিও আমরা চাই বিক্রি বাড়ুক। এটা অ্যাডিডাসের ব্যাপারে ও দেশে কিছু সমস্যা আছে যার প্রভাব পড়ছে তাদের ওপর, যেমন আমদানিতে বাধা, জনবলের ঘাটতি এমনকি জনগণের চরম ক্ষোভও।’
জার্সিসংকটের ব্যাপারে অ্যাডিডাস বলেছে, তাদের পক্ষে রাতারাতি মেসির জার্সি তৈরির সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব নয়। তারা জানত মেসির জার্সি নিয়ে ভক্তদের চাহিদা থাকবে। কিন্তু তাই বলে বিশ্বব্যাপী শোরুম ও অনলাইনে স্টক ফুরিয়ে যাবে এমনটা তারা ভাবতেও পারেনি। জার্মান প্রতিষ্ঠানটি এখন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কেননা আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলে জার্সির চাহিদা নিশ্চিতভাবেই আরও বেড়ে যাবে।