খেলার দুনিয়ার জন্য ফের দুঃসংবাদ। নতুন করে টোকিও অলিম্পিক বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে যেখানে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ-এর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে, প্রতিটি অ্যাথলিট স্বপ্ন দেখছেন, সেখানে জাপানের গলায় উলটোসুর। সে দেশের প্রশাসনের তরফে জানানো হচ্ছে, টোকিও অলিম্পিক না হলে আদৌ অবাক হবেন না।
ভারতে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে শুরু করেছে। সেখানে জাপানে চলছে চতুর্থ ঢেউ। এমন মারাত্মক ঢেউ যে দিনকে দিন করোনা সংক্রমণের মাত্রা হু হু করে বাড়ছে। ফলে কারও পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকতে। এমনিতেই টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত বছর অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার সময় অনেকে বলেছিলেন, এক বছর পর করোনার প্রকোপ কমবে। তখন কোনও সমস্যা হবে না বিশ্বের সেরা শো করতে। কিন্তু করোনার প্রভাব এমন বেড়ে গিয়েছে যে অলিম্পিক বন্ধ করার কথা ভাবতে শুরু করেছে জাপান সরকার।
জাপানের শাসক দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এক সদস্য জানিয়েছেন, অলিম্পিক বাতিল করার কথা ভাবতে শুরু করেছে সরকার। “অলিম্পিক বাতিল করার কথা আমরা নতুন করে ভাবতে শুরু করেছি। যদি অলিম্পিক হয় তাহলে তাকে সফল করে তোলার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমাদের। সেই সুযোগ সামনে এসেছে ঠিকই। তা কাজে লাগাতে আমরা মরিয়া। কিন্তু পরিস্থিতি যেভাবে জটিল আকার ধারণ করছে তাতে আমাদের নতুন করে ভাবা ছাড়া উপায় নেই। তবে আমাদের সামনে এখনও অনেক প্রস্তুতি বাকি রয়েছে। সেসব আগে ঠিক করতে হবে।” জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক দলের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
ওসাকাতে ২৪ ঘণ্টা আগে প্রায় ১১০০ আক্রান্তের সংখ্যা সরকারীভাবে জানানো হয়েছে। দিনকে দিন সেই সংখ্যা যে বেড়েই চলেছে তাও স্বীকার করে নিয়েছেন জাপানের প্রতিষেধকের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী তারো কোনো। তাই তিনি ইতিমধে্য জানিয়ে দিয়েছেন, বিদেশি তো বটেই, জাপানীদেরও হয়তো মাঠে ঢুকতে দেওয়া হবে না। অর্থাৎ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হবে ক্রীড়াবিদদের। যদিও আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, কোনও বিদেশি এবার টোকিও গিয়ে অলিম্পিক দেখতে পারবেন না। স্বদেশিদের সেই সুযোগ দেওয়া হলেও হতে পারে। তবে এখন পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাাতে বলা যাচ্ছে না যে, আদৌ কোনও দর্শক মাঠে থাকবেন কি না।