সাধারণত উইনিং কম্বিনেশন ভাঙা হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আগের ম্যাচ জেতা একাদশেই আস্থা রাখেন নির্বাচকরা। কিন্তু সেটা বোধ হয় হচ্ছে না শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগারদের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। পরিবর্তনের ইঙ্গিত যে দিয়েছেন খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বিসিবি সভাপতি লিটন দাসকে ওপেনিংয়ের বদলে মিডল অর্ডারে খেলানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। এটা নিয়ে তিনি টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।
৭ ম্যাচে তিনবার শূন্য রানে আউট হওয়া আর শেষ ৭ ইনিংসে সবমিলিয়ে মাত্র ৭৬ রান করা লিটনের সৌম্য সরকার দ্বিতীয় ম্যাচে ওপেন করতে পারেন-এমন ধারণা জন্মেছে বিসিবি প্রধানের কথাতেই।
এখন ম্যাচের আগের রাতে মিডিয়া পাড়ায় প্রশ্ন- শেষ পর্যন্ত কি নাজমুল হাসান পাপনের প্রেসক্রিপশনেই টিম হবে? আগামীকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কি লিটনকে ওপেনিংয়ের বদলে মিডল অর্ডারে খেলানো হবে? তবে কি তার বদলে সৌম্য ওপেন করবেন তামিম ইকবালের সঙ্গে?
একাদশ নিয়ে আরও কিছু প্রশ্ন আছেই। প্রথম ম্যাচে উইকেট না পাওয়া আর সবার চেয়ে বেশি রান দেয়া পেসার তাসকিন আহমেদ পরের ম্যাচে থাকবেন কি না, শেখ মেহেদি হাসান কিংবা সৌম্যকে দিয়ে তার ১০ ওভারের বোলিং কোটা পূর্ণ করার চিন্তা করা হচ্ছে কি না?
একদম নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, প্রথম ম্যাচ খেলা ১১ জন থেকে বাদ পড়ছেন মোহাম্মদ মিঠুন। তাকে বাইরে রেখেই দল সাজানো হচ্ছে। তাহলে যদি এমনটাই হয়, তবে মিঠুনের জায়গায় ঢুকছেন কে?
টিম ম্যানেজমেন্টের এক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, মিঠুনের বদলে একাদশে আসছেন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার অফস্পিনটাও হয়তো কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা চলছে বাকি সব ঠিক থাকবে।
তার মানে সৌম্য সরকার থাকছেন না কালকের ম্যাচেও। আর ওপেনিং জুটিতেও পরিবর্তন আসছে না। তামিম ইকবালের সঙ্গে লিটন দাসই ওপেন করবেন।
তবে লিটন কালও ব্যর্থ হলে আগামী ২৮ মে শেষ ম্যাচে অধিনায়ক তামিমের সাথে তরুণ নাইম শেখকে ওপেন করতে দেখা যাবে-এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
দ্বিতীয় ওয়ানডের সম্ভাব্য একাদশ :
তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।