অপেক্ষায় ছিলো চ্যাম্পিয়ন মেয়েরা কখন দেশে ফিরবে, অপেক্ষায় ছিলো গোটা জাতি কখন সোনার মেয়েদের বরণ করে নিতে পারবে তারা। সে অপেক্ষার অবসান হয়েছে। বাংলার বাঘিনীরা দেশে ফিরেছে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট হাতে নিয়ে।
উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়ে সানজিদারা চেপেছে তাদের স্বপ্নের ছাদ খোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে। সেই বাসেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে চ্যাম্পিয়ন যাত্রা করেই চ্যাম্পিয়ন মেয়েরা অবশেষে এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কার্যালয়ে। সেখানে তাদের জন্য অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষা করছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
বাফুফের কার্যালয়টা নিজেদের ঘরের মতোই সাবিনা-কৃষ্ণাদের কাছে। শিরোপা নিয়ে চিরচেনা সেই বাফুফে ভবনে উঠবেন তারা। তাদের শুভেচ্ছা জানাতে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে আগেই।
জানা গেছে, বাফুফে ভবনে পৌঁছানোর পর দলকে বরণ করে নিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। শুরুতে মেয়েদের ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি। তারপর সেখানে চ্যাম্পিয়নদের জন্য রিফ্রেশমেন্ট আর ফটোসেশন পর্ব।
এর আগে দেশে ফিরেই পেয়েছেন উষ্ণ অভ্যর্থনা পান বাংলার বাঘিনীরা। দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সাফজয়ী দলকে বহন করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে কাঠমুন্ডু থেকে দেশের উদ্দেশ্যে উড়াল দেয় সানজিদাদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৩৭২ ফ্লাইটটি।
বিমানবন্দরে নেমেই অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে দিয়ে কেক কেটে সোনার মেয়েদের বরণ করে নেন বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। মিষ্টি আর ফুলের শুভেচ্ছার সঙ্গে বরণ করা হয় সানজিদাদের।
দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন আর বাফুফের নারী উইংইয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণকেও শুভেচ্ছা জানানো হয় এসময়।
এরপরই বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন শেষ করেই সানজিদাদের জন্য অপেক্ষারত ছাদ খোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে শুরু হয়েছে চ্যাম্পিয়ন যাত্রা। রাজধানীর সড়কে বাংলাদেশ বাংলাদেশ স্লোগানে চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের বরণ করে নিয়েছে অগণিত মানুষ।
বিমানবন্দর থেকে কাকলী-জাহাঙ্গীর গেট- পিএম অফিস-বিজয় সরণি- ফকিরাপুল হয়ে বাফুফে ভবন পৌঁছেছে সানজিদাদের চ্যাম্পিয়ন বাস।