চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এনামুল হক বিজয়। ছয় ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। গতকাল দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিনে ক্যারিয়ার সেরা ১৮৪ রানের বিশাল ইনিংস খেলেছেন বিজয়।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে বিজয়ের ১৪তম সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১১১ রানে পরাজিত করেছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির বিরুদ্ধে ২০ রানের জয় পেয়েছে আবাহনী।
বিকেএসপি মানেই রানের জোয়ার, প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরেও যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল আগে ব্যাট করে বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৩৮৮ রানের বড় স্কোর গড়ে প্রাইম ব্যাংক।
শাইনপুকুরের বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন ডানহাতি এ ওপেনার। তিনি আউট হয়েছেন ৪৫তম ওভারে। খেলেছেন ১৪২ বলে ১৮৪ রানের ইনিংস। যেখানে ১৮টি চার ও ৮টি ছক্কা মেরেছেন বিজয়। প্রাইম ব্যাংকের নাসির ৩২ বলে অপরাজিত ৬১, মিঠুন ৩৮, অভিমন্নু্য ঈশ্বরন ৩০, শাহাদাত দিপু ৪৭ রান করেন। শাইনপুকুরের সিকান্দার রাজা, পায়েল ২টি করে উইকেট নেন।
বড় টার্গেটের চাপ সামলাতে পারেনি শাইনপুকুর। ৮ উইকেটে ২৭৭ রানের বেশি যেতে পারেনি দলটি। সিকান্দার রাজা ৯৮, সাজ্জাদুল হক ৫৬, অঙ্কন ২৭, রাহাতুল ফেরদৌস অপরাজিত ২৮ রান করেন। প্রাইম ব্যাংকের রকিবুল ৪ উইকেট পান। ১৬ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করা বিজয় ম্যাচ সেরা হন।
খেলাঘরের বিপক্ষে আবাহনী ৯ উইকেটে ২৬১ রান তুলেছিল। নাঈম শেখ ৮৪, মোসাদ্দেক ৬৩, শামীম ৪২, আফিফ ২৩, জাকের আলী ২০ রান করেন। জবাবে ৯ উইকেটে ২৪১ রান তুলতে সমর্থ হয় খেলাঘর। যদিও ইনিংসের শুরুতে ওপেনার হাসানুজ্জামান আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছেন। অমিত মজুমদার ৭৯, অমিত হাসান ৫৪ রান করেন। আবাহনীর আরাফাত সানি, তানজিম সাকিব ৩টি এবং সাইফউদ্দিন ২টি করে উইকেট পান। নাঈম শেখ ম্যাচ সেরা হয়েছেন।