শেষ ষোলোতে যেতে হলে আর্জেন্টিনাকেই জিততেই হতো। ড্র করলে শেষ ষোলো নিশ্চিত ছিল না। পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। নিশ্চিত হয়েছে তাদের পরবর্তী রাউন্ড।
কিন্তু ম্যাচটিকে ঘিরে সমর্থকমহলে দেখা দিয়েছে কিছু প্রশ্ন। ম্যাচের প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা যে পেনাল্টি পায়, সেটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। এ ছাড়া ‘পোল্যান্ড খেলা ছেড়ে দিয়েছিল’ বলেও অভিযোগ ফুটবলপ্রেমীদের একাংশের।
ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। ওই সময় থ্রু বল নিয়ে পোল্যান্ডের রক্ষণে ঢুকে পড়েন আলভারেজ। সেই সময় মেসিও ছিলেন কাছে আর বলটা আটকাতে গিয়ে মেসির মুখে সেজনির হাত লাগে। ডি বক্সের ভেতর এ ঘটনায় পেনাল্টি দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে ভিএআরের সাহায্যে নেন রেফারি। আর্জেন্টিনা পেনাল্টি পেলেও শ্যুটআউট থেকে গোল করতে পারেননি মেসি। পূর্বঘোষণা দিয়েই সেটা ঠেকিয়ে দেন সেজনি।
যদিও সেই পেনাল্টি নিয়ে পোল্যান্ডের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি। এদিকে ফিফা বলছে, তাদের নিয়ম মেনেই পেনাল্টি ঘোষণা করা হয়েছে। যার কারণে এই পেনাল্টি, সেই পোলিশ গোলকিপার ভয়চেক সেজনি ম্যাচ শেষে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি রেফারিকে বলি যে আমি হাত দিয়ে মেসিকে স্পর্শ করেছি, কিন্তু আমার হাত ওর (মেসির) মুখের পাশে লেগেছে। হাত লেগেছিল, তবে সেটা মোটেও ইচ্ছাকৃত নয়। রেফারি অন্য কিছু ভেবেছে, ঠিক আছে। ’
এদিকে পুরো ম্যাচটিতে পোল্যান্ডের খেলা নিয়েও সন্দেহ করছেন ফুটবলপ্রেমীরা। সোশ্যাল সাইটে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন- আর্জেন্টিনাকে শেষ ষোলোতে নিতে এটা পাতানো ম্যাচ নয়তো? রবার্ট লেভানদোস্কিসহ পোলিশ খেলোয়াড়দের দেখে দর্শকদের নাকি মনেই হয়নি, গোল দেওয়ার কোনো ইচ্ছা তাদের আছে। পুরো ম্যাচে তারা একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি! অন্যদিকে আর্জেন্টিনা নিয়েছে মোট ২৩টি শট। প্রথমার্ধে ১২টির মধ্যে সাতটি ছিল লক্ষ্যে। আর দ্বিতীয়ার্ধে নেওয়া ১১টির মধ্যে পাঁচটিই লক্ষ্যে ছিল।
আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড ম্যাচ ঘিরে সন্দেহের আরো একটি কারণ আছে। সেটি হলো ১৯৭৮ বিশ্বকাপ। ওই আসরের গ্রুপ পর্বে সবার শেষে ছিল স্বাগতিক আর্জেন্টিনার ম্যাচ। পরের রাউন্ডে যেতে পেরুর বিপক্ষে আর্জেন্টিনাকে জিততে হতো ৪ গোলের ব্যবধানে। সেই ম্যাচ আর্জেন্টিনা জিতে নেয় ৬-০ গোলে! অভিযোগ উঠেছিল, পেরুকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে আর্জেন্টিনা ম্যাচটি কিনে নেয়! সেটা নিয়ে ওই সময় তুমুল বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল!