অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ে যেতে পারে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত পাকিস্তান দলের সমালোচনা করে এমন কথা বলেছেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতার।
শোয়েব আখতার বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ‘গড় পড়তা’ প্রধান নির্বাচক যে দল ঘোষণা করেছেন তাতে বিশ্বকাপে ভালো করার সুযোগ কম পাকিস্তানের।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে শোয়েব বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কেউ অসাধারণ সিদ্ধান্ত আশা করতে পারে না। পিসিবি কি দল বাছাই করেছে!’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রধান সমস্যা দলের মিডল অর্ডারে, কিন্তু বোর্ড বলেছে তারা ধারাবাহিক। তাদের এমন সিদ্ধান্ত হয়তো ভক্তদের খুশি করবে। কিন্তু মিডল অর্ডার সঙ্কট অব্যাহত থাকায়, শেষ পর্যন্ত এটি ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে দলের জন্য।’
প্রধান নির্বাচক মোহাম্মদ ওয়াসিমের ঘোষিত দল নিয়ে আখতারের মতে ফখরকে রিজার্ভেরাখা ঠিক হয়নি। দুর্বল মিডল-অর্ডার নিয়ে কোন কাজ করা হয়নি। যা পাকিস্তানের জন্য বড় সমস্যা হবে। তিন নম্বরে খেলা ফখর জামানের জায়গায় শান মাসুদকে দলে নিয়েছে পাকিস্তান। ফখরকে রাখা হয়েছে রিজার্ভ তালিকায়।
এর আগে ফখরকে দিয়ে ইনিংস শুরু করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন আখতার। কিন্তু মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামছেন অধিনায়ক বাবর আজম। যেটি বাবরের জন্য একেবারেই মানানসই নয়। কিন্তু পিসিবি চাইছে, বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপেনিং কম্বিনেশনই অব্যাহত থাকুক।
আখতার বলেন, ‘আমি ধারাবাহিকভাবে বলে আসছি, পাওয়ার প্লেতে ফখর জামানকে খেলানো হোক। অস্ট্রেলিয়ায় বল খেলতে তার সুবিধা হবে, কিন্তু বাবরকে ওপরেই রাখা হলো।’
ধীরগতির খেলার কারণে পাক মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইফতিখার আহমেদকে মিসবাহ উল হকের তুলনা করে শোয়েব বলেন, ‘মাশাআল্লাহ্! ইফতিখার (আহমেদ) তো আমাদের দ্বিতীয় মিসবাহ। মোহাম্মদ রিজওয়ান আগে থেকেই ছিল আমাদের, এখন সে-ও যোগ দিল।’
ইঞ্জুরির কারনে সর্বশেষ এশিয়া কাপে খেলতে পারেননি দলের সেরা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। অবশ্য এক মাসের বেশি সময় হাতে থাকার কারনেই আফ্রিদিকে দলে রেখেছে পাকিস্তান।
আফ্রিদির জায়গায় এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাওয়া হাসান আলিকে নেয়া হয়নি বিশ্বকাপে। এশিয়া কাপে ১টি ম্যাচ খেলেছিলেন হাসান।
এমন দল নিয়ে বিশ্বকাপে গেলে প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়তে পারে পাকিস্তান এমন শঙ্কা প্রকাশ করে শোয়েব বলেন, ‘এই দল নিয়ে আমরা হয়তো বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ে যাবো। আমি ভয় পাচ্ছি, কারণ আমাদের ব্যাটিং লাইনআপে কোনো গভীরতা নেই।’
পাকিস্তানের কোচ সাকলায়েন মুশতাক কড়া সমালোচনা করে সাবেক এই গতি তারকা বলেন, ‘২০০২ সালে সর্বশেষ ক্রিকেট খেলেছে সাকলায়েন মুশতাক। এটা এভাবে বলতে চাই না, কারণ সে আমার বন্ধু, তবে এটা ঠিক যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে তার কোন ধারণা নেই।’