আইপিএলের ব্যর্থতা বড় প্রশ্নের মুখে ফেলেছে ভারতের বিশ্বকাপ আয়োজনের সামর্থ্যকে। এ বছরই ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে করোনায় নাজুক ভারতের জন্য বিশ্বকাপ আয়োজন হয়ে উঠেছে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।
করোনার হানায় ভারত যেন এখন মৃত্যুপুরী। জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করেও এর হানা থেকে বাঁচতে পারেনি আইপিএল। বিসিসিআই তাই প্রবল চাপের মুখে আইপিএল বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এতে প্রশ্ন উঠেছে, বিশাল জনগোষ্ঠী ও ঘনত্বের দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব কি না।
বিসিসিআই অবশ্য বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী অক্টোবরে। তার আগে আইপিএলের অসমাপ্ত অংশ সফলভাবে সম্পন্ন করে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ নতুন করে দিতে চায় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রিকেট বোর্ড।
বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ সিংহ ধুমাল রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা দৃষ্টি রাখব, পরিস্থিতি উন্নতি করে কি না। আমাদের ফিউচার ট্যুর প্ল্যানের খেলা রয়েছে, বিশ্বকাপও আছে। এর মাঝখানে কোনো সূচি ফাঁকা পেলে আমরা চেষ্টা করব আইপিএল সম্পন্ন করা যায় কি না।’
আইপিএল সম্পন্ন করায় আপাতত বিসিসিআইয়ের দৃষ্টি হলেও পাখির চোখ বিশ্বকাপই। বৈশ্বিক ক্রীড়া ইভেন্টের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান আইটিডব্লিউয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভৈরব শান্ত বলেন, ‘আইপিএল আয়োজন সম্পন্ন করতে পারলে বিসিসিআই ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে, যা বিশ্বকাপের জন্য স্পন্সরদের প্রলুব্ধ করবে।’
‘হ্যাঁ, আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখব। তবে এখনও আমরা আমাদের (বিশ্বকাপের) পরিকল্পনা অনুযায়ীই আগাচ্ছি। আশা করি পরিস্থিতির উন্নতি হবে আর ভারতেই বিশ্বকাপ আয়োজন করা যাবে। অন্যান্য দেশে করোনা বাড়ন্ত থাকলেও একসময় কমে গেছে।’– বলেন তিনি।
ভারতে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত না হলে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। তবে এ বছরের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারে অস্ট্রেলিয়াও। সেক্ষেত্রে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত।