বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু করা যায়নি। এরপর বল মাঠে গড়ালেও ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ১৬ ওভারে। মাঝপথে আবারও বৃষ্টি হানা দেয়। এতে দৈর্ঘ্য কমে যায় আরও ২ ওভার। কিন্তু এই ১৪ ওভারও যেন ক্রিজে টিকে থাকতে কষ্ট হচ্ছিল বাংলাদেশি ব্যাটারদের! ভাগ্যিস শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এতেই হার থেকে রক্ষা!
টসও আজ ভাগ্য সঙ্গ দিলো না। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ২ রান যোগ করতেই আকিল হোসাইনের বলে কটবিহাইন্ডের শিকার হয়ে ফিরে যান মুনিম শাহরিয়ার। এরপর জুটি ধরেন সাকিব আল হাসান ও এনামুল হক বিজয়। দ্রুত রান তুলতে থাকেন তারা। কিন্তু তাদের জুটি ৩৪ রানের বেশি আগায়নি।
১০ বলে ১৬ রান করে আউট হয়েছেন বিজয়। তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ওবেড ম্যাককয়। পরে লিটন দাস নেমে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। শুরু থেকেই স্ট্রাগল করতে থাকেন। সিঙ্গেল বের করতে পারছিলেন না। রোমারিও শেফার্ডের বলে শটে দাঁড়ানো নিকোলান পুরানের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ব্যাটার। তার আগে ১৪ বলে ৯ রান করেন। একমাত্র সাকিবকে মনে হচ্ছিল বেশ স্বাচ্ছন্দে। কিন্তু তিনিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। হেইডেন ওয়ালশের বলে কটবিহাইন্ডের শিকার হওয়ার আগে করেন ১৫ বলে ২৯ রান। ২টি চারের পাশাপাশি সমান সংখ্যক ছক্কা হাঁকান তিনি।
বাংলাদেশের সংগ্রহ যখন ৭.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান, ঠিক তখনই আবারও হানা দেয় বৃষ্টি। এরপর খেলা শুরু হলেও ম্যাচে দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৪ ওভারে। কিন্তু হাত খুলে ব্যাট চালাতে যেন তীব্র আপত্তি বাংলাদেশি ব্যাটারদের। নেমেই আউট হন আফিফ হোসাইন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। পরে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১৩ বলে ৮ ও শেখ মেহেদী হাসান ৩ বলে ১ রান করে ফিরে যান। একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ১০০ রানের আগেই অলআউট হবে বাংলাদেশ। তবে সেই লজ্জার হাত থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন নুরুল হাসান সোহান। তার ১৬ বলে ২৫ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে শতরানের কোটা পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছে দল। ওডেন স্মিথের বলে ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার পর পরই ডমিনিকায় আবারও বৃষ্টি। বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান।
পরে বৃষ্টি থামলেও আর ব্যাট করতে নামেনি সফরকারীরা। দুই দলের অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলে ম্যাচ পরিত্যক্তের ঘোষণা দেন আম্পায়াররা।