অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব তিনি পালন করতে পারেননি। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অ্যাশওয়েল প্রিন্সকে পাবে কি না তা নিয়ে কিছু সংশয় থাকলেও পরে জানা গেছে তিনি নিউজিল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে সেই অ্যাশওয়েল প্রিন্স এখন আর মাঝেমধ্যে নয়, পাকাপাকিভাবেই বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করবেন। সে বিষয়ে বিসিবির সঙ্গে এরই মধ্যে চুক্তি করে ফেলেছেন তিনি। বিসিবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
সময়টা বেশ ভালই যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। পরপর জিম্বাবুয়ে এবং অস্ট্রেলিয়াকে পরাস্ত করেছে টাইগার ক্রিকেটাররা। এবার ব্যাটিংকে আরও শক্তিশালী ঘটাতে কোচ হিসাবে পাকাপাকিভাবে দায়িত্ব নিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান অ্যাশওয়েল প্রিন্স।
জিম্বাবুয়ে সফরেই প্রিন্স অস্থায়ী চুক্তিতে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই প্রিন্সের চুক্তি পাকাপোক্ত করা হতে পারে। বাংলাদেশের ভাল পারফরম্যান্সেরই সুফল পেলেন প্রিন্স। পাকাপাকিভাবে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া দল ওয়েস্টার্ন প্রোভিন্সের কোচের পদে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
কোবরার্সের হয়ে নিজের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন প্রিন্স। সে দলেই ২০১৬-১৭ সালে ভেঙে ওয়েস্টার্ন প্রোভিন্স, বোল্যান্ড এবং সাউথ ওয়েস্টার্ন ডিসট্রিক্ট, তিনটি দলে ভাগ হয়ে যায়। এরপরেই ওয়েস্টার্ন প্রোভিন্সের দায়িত্ব নেন তিনি। প্রিন্সের অধীনে কোন খেতাব না জিতলেও তার দল থেকে ছয়জন জাতীয় দলের সুযোগ পায়। এটাকেই প্রিন্স ওয়েস্টার্ন প্রোভিন্সের কোচ হিসাবে নিজের সবচেয়ে বড় পাওনা বলে মনে করেন।
তৃতীয় দক্ষিণ আফ্রিকান হিসাবে বাংলাদেশ কোচিং স্টাফের সঙ্গে যুক্ত হলেন স্মিথ। বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো (২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রোটিয়া কোচ ছিলেন) ও বোলিং কোচ ওটিস গিবসন (২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত প্রোটিয়া কোচ), দু’জনই দক্ষিণ আফ্রিকান। ২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অবধি প্রিন্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ বোর্ড।