চলতি কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের একেকটি ম্যাচ মানেই যেন রেফারির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। অবধারিতভাবেই সেই অভিযোগ হয়ে থাকে স্বাগতিক ব্রাজিলকে সুবিধা দেয়ার। ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের পর ম্যাচ রেফারিকে ভাঁড় বলেছিলেন চিলির মিডফিল্ডার আর্তুরো ভিদাল। আজ (মঙ্গলবার) সেমিফাইনাল ম্যাচের পরেও একই সুর পেরুর ফুটবলারদের কণ্ঠে।
নিল্টন সান্তোস স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটি ১-০ ব্যবধানে জিতে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে ব্রাজিল। ম্যাচের ৩৫ মিনিটের মাথায় নেইমারের এসিস্ট থেকে জয়সূচক গোলটি করেছেন লুকাস পাকুয়েতা। পেরুর অভিযোগ, ব্রাজিলের গোলের আগেই পেনাল্টি পেতে পারতেন তারা। কিন্তু রেফারি সেটিকে দিয়েছেন গোল কিক। ম্যাচের ২৩ মিনিটের মাথায় পেরুর একটু দূর পাল্লার শট থিয়াগো সিলভার হাতে লেগেছিল। কিন্তু হাত তখন শরীরের সঙ্গে লেগে থাকায় পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি রেফারি।
এটি নিয়েই অভিযোগ তুলেছেন পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গ্যালেস। ম্যাচের পর তিনি বলেছেন, ‘প্রথমার্ধে থিয়াগো সিলভার বিরুদ্ধে একটা পরিষ্কার পেনাল্টি দেননি রেফারি। বরং গোলকিক দেন। অথচ থিয়াগো সিলভার কনুই শরীরের সঙ্গে লেগে ছিল না। এসময় রেফারির বিরুদ্ধে বাজে আচরণের অভিযোগ এনে গ্যালেস বলেন, ‘আমরা রেফারির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতেও যেতে পারিনি। কারণ সে আমার সতীর্থদের অপমান করছিল। রাগটা তাই রয়েই গেছে।
প্রায় একই সুরে পেরুর মিডফিল্ডার রেনাতো সানচেজ বলেছেন, ‘এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচের আগে এমন একজন রেফারিকে নিয়োগ দেয়া আমার কাছে যথাযথ মনে হয়নি। এর চেয়েও বড় কথা, সে আমাদের মাঠের মধ্যে অপমান করেছে, বাজে আচরণ করেছে।