বিরাট কোহলি আর ঋষভ পন্ত বিশ্রামে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কাল দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে রান পাননি রোহিত শর্মা আর ইশান কিষানও। এরপরও শ্রীলঙ্কার ১৮৩ রান টপকে জয় পেতে কোনো কষ্টই হয়নি ভারতের। ১৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা। এমন দাপুটে জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান শ্রেয়াস আইয়ারের। অসাধারণ ব্যাটিং করা ভারতীয় ব্যাটসম্যান ম্যাচ শেষে অপরাজিত ছিলেন ৪৪ বলে ৭৪ রান করে। ইনিংসটিতে তিনি ৬টি চারের পাশাপাশি মেরেছেন ৪টি ছয়।
শুধু রান পাওয়া বা বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি করার কারণেই নয়, আইয়ারের প্রশংসা করতে হবে তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরনের কারণেও। যে ধরনের প্রশংসা করতে গিয়ে সুনীল গাভাস্কার বলেছেন, ‘বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং।’ গাভাস্কার আইয়ারের প্রশংসা করতে গিয়ে এখানেই থেমে থাকেননি। ভারতের টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যানের কিছু শটকে তিনি তুলনা করেছেন নোভাক জোকোভিচ ও রজার ফেদেরারের ফোরহ্যান্ড শটের সঙ্গে।
ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার গাভাস্কার আইয়ারের শটের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন, ‘প্রথমেই বলতে হবে সে যে স্ট্রেইট ড্রাইভগুলো খেলেছে, সেগুলোর কথা। এরপর বলব, এমনকি তার তুলে মারা বলগুলোও ছিল “ভি”—এর মধ্যে। এভাবে শট খেলার কারণে তার আউট হওয়ার শঙ্কা কমে গেছে। কারণ, ফিল্ডার ছিল সাইটস্ক্রিনের অন্য পাশে। ব্যাটিংয়ের ব্যাকরণ মেনেও যে টি–টোয়েন্টিসুলভ মারমুখী ব্যাট করা যায়, কাল আইয়ারের ইনিংসটি যেন তারই অনুপম এক প্রদর্শনী ছিল।’
আইয়ারের এমন ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ গাভাস্কার বলেছেন, ‘আইয়ার যতটা সম্ভব ব্যাটের ফুল ফেসে খেলছিল। অবিশ্বাস্য খেলেছে সে। আমি তো বলব, এটা অনেকটাই জোকোভিচ বা ফেদেরারের ফোরহ্যান্ড শট খেলার মতো।’
গাভাস্কার এরপর ভারত দলের শক্তিমত্তা নিয়ে কথা বলেছেন। কোহলি বা পন্তের অভাব টের পেতে না দেওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তাঁর কথা, ‘এটাই এই ভারত দলের সুন্দর বিষয়। প্রতিটি জায়গায় একাধিক বিকল্প আছে। তাই সুযোগ যে–ই পাক না কেন, সে জানে যে এটাকে লুফে নিতে হবে। তারা জানে, সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।’ এ প্রসঙ্গেও আইয়ারকেই উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন গাভাস্কার, ‘শ্রেয়াস আইয়ার এ ম্যাচে তার ব্যাটিংয়ের বুদ্ধিদীপ্ত দিকটি দেখিয়েছে। যখনই দেখেছে ডিপ থার্ডম্যানে ফিল্ডার নেই, সে বল সেখান দিয়ে তুলে মেরেছে।’