চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে গত মৌসুম শেষ করা চেলসি তাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখল। বুধবার রাতে ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে টমাস টুখেলের দল। প্রতি মৌসুমের শুরুতে আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ও ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়নের মধ্যে হয় এই ম্যাচ।
চেলসি সব দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ খেলে ভিয়ারিয়াল। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচ অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৬-৫ ব্যবধানের জয় নিয়ে ট্রফি জিতেছে চেলসি।
বেলফাস্টের উইন্ডসর পার্কে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করতে থাকে চেলসি। এগিয়ে যেতে পারতো ষষ্ঠ মিনিটেই। কর্নারে টিমো ভেরনারের শট লাফিয়ে আটকে দেন গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর এনগোলো কন্তের দূর থেকে নেয়া শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
তবে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি দাপটে খেলতে থাকা চেলসির। ২৭ মিনিটে হাকিম জিয়েখের গোলে এগিয়ে যায় টুখেলের দল। বিরতির ঠিক আগে সেই গোল শোধের ভালো সুযোগ পেয়েছিল ভিয়ারিয়াল। কিন্তু আলবার্তো মরেনোর বুলেট গতির ভলি ক্রসবারে আটকে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ভিয়ারিয়াল। চেলসির রক্ষণকে পরীক্ষায় ফেলে দেয় তারা। সাফল্যও পেয়ে যায় ৭৩ মিনিটে। জিয়ার ব্যাকপাস থেকে বল পেয়ে জোরালো উঁচু শটে সমতা টানেন মরেনো। ১-১ সমতায়ই শেষ হয় নির্ধারিত সময়। পরে অতিরিক্ত সময়েও আর গোলের দেখা পায়নি দুই দল। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
তার আগে অবশ্য একটি চমক দেখান চেলসি কোচ টুখেল। টাইব্রেকার ভাবনা মাথায় রেখেই ম্যাচের ১১৯তম মিনিটে মূল গোলরক্ষক এদোয়ার্দ মেন্দিকে বসিয়ে কেপা আরিসাবালাগাকে নামান তিনি।পেনাল্টি শুট আউটে দুই দলই প্রথম পাঁচ শটে চারটি করে গোল করে। ছয় নম্বর শটেও সফল উভয় পক্ষ। চেলসির সাত নম্বর শটটি আন্টোনিও রুডিগার জালে পাঠানোর পর ভিয়ারিয়ালের রাউল আলবিওলের শট রুখে দেন আরিসাবালাগা। তাতেই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে চেলসি।